আফগানিস্তানের বিপক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ ও সাইফ। পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত শুরুর পর আশা ছিল ১৭০ রানের কাছাকাছি যাওয়ার তবে শেষের ব্যর্থতায় তা আর হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ সংগ্রহ করতে পেরেছে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান।
ম্যাচটিতে টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের দৃষ্টিনন্দন অর্ধশতকে ভর করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করার মতো সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ টি–টোয়েন্টি ২০২৫–এর নবম ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে টাইগাররা তুলে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত সফল প্রমাণ করেন অধিনায়ক লিটন দাস। ইনিংসের শুরুতেই জ্বলে ওঠে ওপেনিং জুটি। তানজিদ ও সাইফ হাসান ৬৩ রানের জুটি গড়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দলকে। তবে সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলেই আফগান অধিনায়ক রশিদ খান আঘাত হানেন, বিদায় করেন সাইফকে। ২৮ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি, দুই চার ও এক ছক্কার মারে। সাইফ ফেরার পর রান তোলার গতি কমে যায়।
তানজিদ এরপর লিটন ও তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে এগিয়ে নেন দলকে। শেষ পর্যন্ত নুর আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে ৩১ বলে ৫২ রান করেন বাঁহাতি এ ওপেনার, চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় সাজানো ছিল ইনিংস।
তানজিদের বিদায়ের পর হৃদয় চেষ্টা চালান দলকে টেনে নেওয়ার। ২০ বলে করেন ২৬ রান, তবে পেনাল্টিমেট ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার হন তিনি। শেষদিকে জাকের আলি ও নুরুল হাসান অপরাজিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১২ রান করে দলকে লড়াকু সংগ্রহে পৌঁছে দেন। তবে তাদের কাছে সুযোগ ছিল দলকে আরো এগিয়ে নেওয়ার।
আফগানিস্তানের হয়ে রশিদ খান ও নুর আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন, আর একটি নেন ওমরজাই।
উল্লেখ্য, গ্রুপ–পর্বে টিকে থাকতে এবং সুপার ফোরের দৌড়ে সমীকরণ সহজ করতে এ ম্যাচে জয় পাওয়া জরুরি বাংলাদেশের জন্য। বর্তমানে ‘বি’ গ্রুপে দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লিটন দাসের দল।
মন্তব্য করুন