

দুবাইয়ের রাতটা বাংলাদেশের জন্য হতে যাচ্ছে একেবারে ‘ডু অর ডাই’। অলিখিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় মানেই ফাইনাল। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরু থেকেই আগ্রাসী বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে দিয়েছে তাসকিন-মোস্তাফিজরা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ১৩৫। অর্থাৎ ফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৩৬ রান।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমেই বিপদে পড়ে পাকিস্তান। ইনিংসের চতুর্থ বলেই ব্রেকথ্রু এনে দেন একাদশে ফেরা তাসকিন আহমেদ। অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ ডেলিভারি স্কয়ার ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদের হাতে ধরা পড়েন সাহিবজাদা ফারহান (৪)।
পরের ওভারেই সাইম আইয়ুবকে শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। ফখর জামান ও সালমান আলি আগা কিছুটা সময় ধরে রাখলেও স্কোরবোর্ড এগোয়নি। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ২৭। চাপে পড়ে লং-অফে ধরা পড়ে ফেরেন ফখর (২১ বলে ১৩)।
স্পিন আক্রমণে সাফল্য এনে দেন রিশাদ হোসেনও। ফখরের পর ফেরান হুসেইন তালাতকে (৭ বলে ৩)। একপ্রান্তে টিকে থেকেও অধিনায়ক সালমান আলি আগা ২৩ বলে করেন মাত্র ১৯।
৭১ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ার পর কিছুটা লড়াই দেখান শাহিন আফ্রিদি। প্রমোশন পেয়ে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে একাধিকবার জীবন পেয়ে ১৩ বলে করেন ১৯। তবে আসল ঘুরে দাঁড়ানোটা আসে শেষদিকে।
মোহাম্মদ হারিসের ২৩ বলে ৩১ আর নাওয়াজের ১৫ বলে ২৫ রানে ভর করে দেড়শ ছুঁতে না পারলেও লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সফল তাসকিন আহমেদ—৪ ওভারে ২৮ রানে নিলেন ৩ উইকেট। শেখ মেহেদী ও রিশাদ হোসেনের ঝুলিতে দুটি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন