নারী ক্রিকেটে বিশ্বকাপে নাভি মুম্বাইয়ের রোদে প্রথমে ব্যাট হাতে নামা শ্রীলঙ্কা নারী দল একসময় মনে করেছিল, ২৭০–২৮০ রানের পথে এগোচ্ছে তারা। কিন্তু মাঝপথে দৃশ্যপট বদলে গেল সম্পূর্ণভাবে। বাংলাদেশি টাইগ্রেসদের স্পিন জালে জড়িয়ে শেষ ছয় উইকেট পড়ল মাত্র ২৮ রানে আর ৪৮.৪ ওভারে থেমে গেল তাদের ইনিংস মাত্র ২০২ রানে।
অবশ্য লঙ্কানদের ইনিংসের শুরুটা ছিল আশাব্যঞ্জক। ইনিংসে প্রথম বলে মারুফা উইকেট নিলেও পরে অভিজ্ঞ হাসিনি পেরেরা ও নিলাক্ষি দে সিলভার ৮৭ রানের পার্টনারশিপে একসময় দৃঢ় অবস্থান গড়ে নেয় লঙ্কানরা। হাসিনি একাই লড়েছেন প্রায় শেষ পর্যন্ত—৯৯ বলে ৮৫ রানের অনবদ্য ইনিংস, যা তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সেরা স্কোর। কিন্তু তার বিদায়ের পরই যেন ভেঙে পড়ে গোটা ব্যাটিং লাইনআপ।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে দারুণ কার্যকর ছিলেন তরুণ স্পিনাররা। স্বর্ণা আক্তার নিয়েছেন ৩ উইকেট, রাবেয়া খান পেয়েছেন ২টি। অভিজ্ঞ নাহিদা আক্তার ও নিশিতা আক্তার নিশিও পেয়েছেন একটি করে উইকেট। শুরুতে দ্রুত উইকেট না পেলেও, একবার ছন্দ খুঁজে পেলে তারা আর পিছু হটেনি।
লঙ্কান ব্যাটারদের বেশিরভাগই স্পিনের ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত হয়েছেন—আটজন ব্যাটার ফিরেছেন এক অঙ্কের রানে। তবুও বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল শোচনীয়, কিছু সহজ ক্যাচ এবং মিসফিল্ডে রানও দিয়েছে। তা সত্ত্বেও বোলারদের নিয়ন্ত্রণে শেষ পর্যন্ত বড় ক্ষতি এড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।
এখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি বাংলাদেশের হাতে। ২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করা সহজ না হলেও, উইকেটের আচরণ এবং প্রতিপক্ষের মানসিক বিপর্যয়—সবই অনুপ্রেরণা জোগাবে নিগার সুলতানাদের।
মন্তব্য করুন