জাতীয় দলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার তানজিম সাকিবের এখন সুযোগ পাওয়ারই কথা ছিল না। আরেক পেসার এবাদত হোসেনের ইনজুরি এই তরুণকে এশিয়া কাপের দলে আসার সুযোগ করে দেয়। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচে অভিষেকও হয় ২০ বছর বয়সী এই তরুণের।
আর ভারতের বিপক্ষে অভিষেকটা মনে রাখার মতোই হয়েছে বাংলাদেশের এই পেসারের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেটের খাতাই খুলেছেন রোহিত শর্মার মতো ব্যাটারকে দিয়ে। ৭.৫ ওভার বল করে ৩২ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। সঙ্গে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশও পেয়েছে ভারতের বিপক্ষে ৬ রানের জয়। এমন অভিষেক সবসময় মনে থাকবে তানজিমের!
২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ভারতকে প্রথম ধাক্কাটা দেন তানজিম। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিতকে। এরপর যেভাবে ইনসুইং ডেলিভারিতে অভিষিক্ত তিলক বর্মাকে ফিরিয়েছেন, সেটা শুরুতেই বাংলাদেশকে এগিয়ে দেয়।
তানজিমের কাছে রোহিতের উইকেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটাই যে তার স্বপ্নের উইকেট। ম্যাচ শেষে এই পেসার বলেন, ‘রোহিত ভাইয়ের উইকেটটা আমার স্বপ্নের উইকেট, প্রথম উইকেট। আমি শুধু সঠিক লাইন ও লেংথে বোলিং করতে চেয়েছি।’
শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ায় অধিনায়ক সাকিব ৬ ওভারের লম্বা স্পেল করিয়েছেন তানজিমকে দিয়ে। তানজিম বলছেন দলের প্রয়োজনে এমন স্পেলের জন্য প্রস্তুত থাকেন তিনি, ‘এমন কিছুর জন্য আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকি। দলের যখন আমাকে প্রয়োজন হয়, তখন এমন লম্বা স্পেল করার জন্য প্রস্তুত থাকি। অনুশীলনও এভাবে নিজেকে প্রস্তুত করি।’
ইনিংসের শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। সেখানে প্রথম তিন বলই ডট দেন তানজিম। এরপর চতুর্থ বলে মোহাম্মদ শামি বাউন্ডারি মারেন। ওভারের প্রথম চার বলই স্লোয়ার করা তানজিম ওভারে পঞ্চম বল করেন ইয়র্কার। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই পেসার ইয়র্কার দিতে পারবেন, এই বিশ্বাস থেকেই ইয়র্কার করেছেন, ‘প্রথম ভেবেছিলাম স্লোয়ার করব, তবে পরে মনে হলো আঁটসাঁট ইয়র্কার করি। বিশ্বাস ছিল নিখুঁত ইয়র্কার করতে পারব, সেটাই হয়েছে।’
মন্তব্য করুন