চোট জর্জর দল। নেই অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। দলে প্রাধান্য তাই তারুণ্য। তবে টিম স্পিরিট দুর্দান্ত। দলীয় পারফরম্যান্স দেখার মতো। এশিয়া কাপের ফাইনালে তাই শ্রীলঙ্কা টিমকে নিয়ে সবাই অবাক হলেও দলের সামর্থ নিয়ে কারও সংশয় নেই। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে লঙ্কানদের প্রতিপক্ষ ভারত। ধারে-ভারে ভারত এগিয়ে থাকলেও অদম্য শ্রীলঙ্কাও শিরোপার অন্যতম দাবিদার।
রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ১৩ বছর পর এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। এবার সেই শোধ তুলতে পারবে লঙ্কানরা?
ভারতের জন্য শ্রীলঙ্কা বরাবরই শক্ত প্রতিপক্ষ। অতীত ইতিহাস তাই বলে। এশিয়া কাপে ভারতের শিরোপা সর্বোচ্চ সাতবার, শ্রীলঙ্কা ছয়বার। আর সেখানে পাকিস্তানের শিরোপা মাত্র দুইবার। এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়েছে মোট সাতবার। এর মধ্যে ভারত জিতেছে চারবার, শ্রীলঙ্কা তিনবার।
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ভারত এবং শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হয়েছে ১১ বার। এর মধ্যে ভারতের জয় ৫টিতে, শ্রীলঙ্কা জিতেছে চারটিতে। ভারতের মাটিতে ২০১১ সালের বিশ্বকাপেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত জিতেছিল শিরোপা।
এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ মোকাবিলা ২০১০ সালে ডাম্বুলায়। সেই ফাইনালে ৮১ রানের জয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। দীনেশ কার্তিকের ৬৬ রানের সৌজন্যে প্রথমে ব্যাট করে ২৬৮ তুলেছিল ভারত। জবাবে আশিস নেহরার বোলিং দাপটে ১৮৭ রানে অল আউট হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
সেই পরিসংখ্যান নিশ্চয়ই মাথায় রয়েছে দাসুন শানাকাদের। সেই ফাইনালের মতো এবারকার ফাইনালও লঙ্কানদের মাটিতে। শিরোপা জেতার সঙ্গে সঙ্গে রোহিত-কোহলির বিরুদ্ধে পুরোনো ফাইনালের হারের শোধটা ভালোমতো নিতে চাইবে টিম শ্রীলঙ্কা।
মন্তব্য করুন