মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় ওয়ানডেতে জয়ের জন্য কিউইদের দরকার ১৭২ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় সিরিজ ড্র করতে আজ জিততেই হতো টাইগারদের। এ রকম সমীকরণে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭১ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে একমাত্র অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বাদে আর কেউ দৃঢ়তা দেখাতে পারলেন না। বাকিরা কেউই তাকে খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেননি। নিউজিল্যান্ড বোলারদের তোপে ১৫ ওভার বাকি থাকতে দুইশোর আগেই থেমে গেল টাইগাররা।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচটাতে বাংলাদেশ স্রেফ ১৭১ রানের পুঁজি। দলের হয়ে ৮৪ বলে ১০ চারে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করে শান্ত। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে কিউইদের সফল বোলার অ্যাডাম মিলনে। ট্রেন্ট বোল্ট ৩৩ রানে পান ২ উইকেট।
বাংলাদেশ একাদশে একাধিক পরিবর্তন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাকির হোসেনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক। ওপেনিংয়ে নেমে অভিষেকটা সুখকর হয়নি এই ওপেনারের। ৫ বলে মাত্র ১ রান করে মিলনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন জাকির। সেটাও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে।
তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান সাকিব। ৫ বলে এক চারে ৫ রান করা সাকিব বোল্টের বলে ক্যাচ দেন অ্যালেনের হাতে।
শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়ের জুটি সাময়িক বিপর্যয় রোধ করে। ভালো খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেনি তৌহিদ হৃদয়। ১৭ বলে ১৮ রান করে মিলনের শিকার তিনি। এরপর মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর জুটি ছিল বেশ ভালোই। তবে প্রত্যাশা পূরুণ করতে পারেননি মুশফিক।
কিউই অধিনায়ক লকি ফার্গুসনের বলে বোল্ড তিনি। অনেকটা নাটকীয়ই ছিল তার আউট। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ঠেকালেও বল গিয়ে লাগে স্টাম্পে, পা দিয়ে সরাতে গিয়েও পারেননি মুশফিক। দৃষ্টিকটু আউটে ফেরেন ২৫ বলে ১৮ রান করে।
তবে অন্য প্রান্তে শান্ত ছিলেন ঠিকই ছন্দে। অধিনায়কত্বের অভিষেকেই তিনি পেয়েছেন ফিফটির দেখা। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পঞ্চম ফিফটি। বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক হিসেবেও সর্বোচ্চ ইনিংসটি এখন তার। তবে জুটিটা জমে উঠতে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহও। মিলনে গতি আর স্যুয়িং বুঝতে না পেরে ২১ রান করা ব্যাটার ক্যাচ দেন কিপারের হাতে। তবে আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
শেখ মেহেদী হাসানও বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি শান্তকে। এক পাশে উইকেট পতনের স্রোতেও কুঁকড়ে না থেকে রান বাড়িয়ে যান শান্ত। ৫৫ বলে ফিফটি করার পর সেঞ্চুরির আভাসও দিচ্ছিলেন। তবে টেল এন্ডারদের নিয়ে লড়াই আর করতে পারেননি। অফ স্পিনার কোল ম্যাকনকির বলে এলবিডব্ললিউতে শেষ হয় তার ইনিংস। দলীয় ১৬৮ রানে তিনি আউট হওয়ার পর মাত্র তিন রানেই বাকি ব্যাটাররা প্যাভিলয়নে ফেরেন।