অবশেষে বিশ্বকাপে হারের বৃত্ত ভেঙেছে বাংলাদেশ। টানা ছয় ম্যাচ পরাজয়ের পর শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখার ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে টাইগাররা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের হারানোয় ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আশা বাঁচিয়ে রাখল সাকিব-শান্তরা।
শ্রীলঙ্কার ২৮০ রানের জবাবে ৫৩ বল হাতে রেখে দাপুটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এই জয়ে নেট রানরেটে পয়েন্ট টেবিলের ৭ম অবস্থানে উঠে এসেছে টাইগাররা। শুরুতেই দুই চার মেরে দারুণ সূচনা করেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে ৯ রানে মাদুশঙ্কার বলে বিদায় নেন তরুণ এই ওপেনার। আরেক ওপেনার লিটন দাসকেও ফেরান লঙ্কান পেসার। ২২ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় সাজঘরে ফিরে যান লিটন।
তৃতীয় উইকেটে ১৬৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত ও সাকিব। ৬৫ বলে ৮২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন টাইগার অধিনায়ক। ১২টি চার ও দুটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এরপরই বিদায় নেন শান্ত। ম্যাথিউসের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১২ চারে ৯০ রানে আউট হন তিনি। এরপর রিয়াদের ২২, মুশফিকের ১০ ও হৃদয়ের অপরাজিত ১৫ রানে জয়ের বন্দরে পৌঁছে বাংলাদেশ। দিলশান মাদুশঙ্কা সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শরিফুলের প্রথম ওভারে মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন কুশাল পেরেরা। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দ্রুতই রান তুলছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও অধিনায়ক কুশাল মেন্ডিস। ১২তম ওভারে কুশাল মেন্ডিসকে ১৯ রান ফেরান সাকিব। মেন্ডিসের পর নিশাঙ্কাকে বোল্ড করেন বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে নামা তানজিম সাকিব।
চতুর্থ উইকেটে সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চরিথ আসালাঙ্কা ৬৩ রানের জুটি গড়েন। এরপরই ঘটে অদ্ভুত ঘটনা। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে 'টাইমড আউট' হন ম্যাথিউস। এতসব বিতর্কের মধ্যেও শতক তুলে নিয়েছেন আশালাঙ্কা। ওডিআই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ১০৮ রানে তানজিম সাকিবের শিকারে পরিণত হন আশালাঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ২৭৯ রানে অলআইট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভারে ৮০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব।
মন্তব্য করুন