বিশ্বের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টাইম আউটের ফাঁদে পড়লেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে যা প্রথম। কিন্তু ম্যাথুসের এমন আউট ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই ভাগে বিভক্ত সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমর্থকরা। কেউ বলছেন, এমনটা না করলেও পারত বাংলাদেশ। আবার অনেকের মতে, ক্রিকেট আইনসম্মত আউটে বিতর্কের সুযোগ নেই।
ঘটনার সূত্রপাত, ২৪.২ ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন সাদিরা সামারাবিক্রমা। নতুন ব্যাটার হিসেবে উইকেটে এলেন ম্যাথুস। কিন্তু এসে দেখলেন তার হেলমেট স্ট্র্যাপে কোনো একটা সমস্যা আছে। ড্রেসিংরুমে ইশারা করে নতুন হেলমেট চাইলেন তিনি। ততক্ষণে প্রথম বল মোকাবিলার সময় পেরিয়ে গেছেন তিনি। ‘টাইম আউটের’ আবেদন করে বাংলাদেশ। কিছুক্ষণ সময় নিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত দেন মাঠে থাকা দুই আম্পায়ার। যদিও সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে বিষয়টি পুনর্বিচেনার সুযোগ ছিল। ম্যাথুস সেটার আশায় বাংলাদেশ অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। সাকিব তখন তাকে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
ক্রিকেটের আইন প্রণেতা এমসিসির ওয়েবসাইটে ‘টাইম আউট’ নিয়ে ৪০.১.১ ধারায় বলা হয়েছে, ‘উইকেট পতনের পর কিংবা ব্যাটার রিটায়ার্ড হওয়ার পর নতুন ব্যাটার ৩ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত হবে। এই শর্ত পূরণ করতে না পারলে নতুন ব্যাটার আউট হবেন। টাইম আউট।’
কিন্তু বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশনে বলা আছে, ৩ মিনিট নয়, ব্যাটারকে পরবর্তী বলের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত থাকতে হবে ২ মিনিটের মধ্যে। হেলমেট বদলাতে গিয়ে ম্যাথিউজ সেই সময়ের মধ্যে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেননি। ফলে বাংলাদেশের আপিল ও ক্রিকেটের আইন মেনে ম্যাথুসকে ‘টাইম আউট’ দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না আম্পায়ারদের।
ঘটনাটির পরপরই মাঠে থাকা ধারাভাষ্যকাররা ব্যাটারদের নিয়ম জানা ও মানার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিতে পারেননি গৌতম গম্ভীর, ডেল স্টেইন ও উসমান খাজারা।
গম্ভীর লিখেছেন, ‘নিশ্চিতভাবে দিল্লিতে আজ (গতকাল) দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে।’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগে ম্যাথিউজের নাম জুড়ে দেন তিনি। স্টেইন লেখেন, ‘দারুণ, এটা স্বাভাবিক ছিল না।’ ম্যাচের পর শ্রীলঙ্কার হয়ে সেঞ্চুরি করা ব্যাটার চারিথ আশালঙ্কাও এ ধরনের আউটকে স্পিরিট অব ক্রিকেটের জন্য ভালো নয় বলে মন্তব্য করেন। সে যাই হোক, নিয়মের মতে এটাই আইনসম্মত।
মন্তব্য করুন