একটা সময় ওয়ানডেতে কোনো দল ৩০০ রান ছুঁলেই মনে হতো অনেক বড় কিছু। তবে সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে অনেক কিছু। দাপট বেড়েছে ব্যাটারদের। এখন ওয়ানডেতে চারশ রানও তেমন কিছু না। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের ৪৯৮ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস অনেকের কাছে বড় বিস্ময়। সবার প্রত্যাশা, ওয়ানডে ক্রিকেট কবে স্পর্শ করবে ৫০০ রানের দলগত ইনিংস।
ওয়ানডে ইতিহাসে দলগতভাবে এখন পর্যন্ত ৪০০ রানের মাইলফলক ছোঁয়া হয়েছে ২৩ বার। যার সর্বশেষটি করে দেখাল জিম্বাবুয়ে। সোমবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম পর্বের ম্যাচে ৬ উইকেটে ৪০৮ রান করেছে জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সময়টা অবশ্য দুর্দান্ত যাচ্ছে। ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আগের ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সুপার সিক্স নিশ্চিত করেছে সিকান্দার রাজা-রায়ান বার্লরা। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার অন্যতম দাবিদার করেছে জিম্বাবুয়েকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানই করে ফেলল জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৫১/৭, ২০০৯ সালে মোম্বাসায় কেনিয়ার বিপক্ষে।
টসে জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে প্রথম ভুলটা করে যুক্তরাষ্ট্র। জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা প্রথম থেকেই চড়াও হয় যুক্তরাষ্ট্রের বোলিংয়ের ওপর। দুই ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি ও ইনোসেন্ট কাইয়া ভালো সূচনা এনে দেন। ৫৬ রান ওঠে ওপেনিং জুটিতে। তবে কাইয়া ৩২ রানে ফেরার পর জিম্বাবুয়েকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যায় শন উইলিয়ামস ও গাম্বির দ্বিতীয় উইকেট জুটি। এ জুটিতে রান আসে ১৩১ বলে ১৬০।
উইলিয়ামস সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাত্র ৬৫ বলে। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র তাকে সাজ ঘরে ফেরায়। তবে ততক্ষণে তার সংগ্রহ ১০১ বলে ১৭৪ রান। চলমান বাছাইপর্বে উইলিয়ামসের এটি দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ১৫৩ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে উইলিয়ামসের এটি সর্বোচ্চ ইনিংসও। আগের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল অপরাজিত ১২৯, ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে। জিম্বাবুয়ের হয়ে উইলিয়ামসের চেয়ে বড় ইনিংস আছে মাত্র দুটি।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান গাম্বির—১০৩ বলে ৭৮। সিকান্দার রাজা করেন ২৭ বলে ৪৮ ও রায়ান বার্ল ১৬ বলে ৪৭। উইলিয়ামস তৃতীয় উইকেট জুটিতে সিকান্দার রাজার সঙ্গে যোগ করেন ৪৫ বলে ৮৮, আর বার্লের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৩১ বলে ৮১।
মন্তব্য করুন