দেশ ক্রিকেটে সুখবর এনে দিচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল আর নারী জাতীয় দল। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে রেকর্ড জয়ের পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জয়ের হাতছানি নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের। আর এশিয়ার শ্রেষ্ঠেত্বর মুকুট জিতে বীর বেশে দেশে ফিরেছি যুব দল। রাজসিক না হলেও বর্ণিল অভ্যর্থনা পেয়েছে যুবারা।
বিপরীতে ব্যাকফুটে জাতীয় পুরুষ দল। ভারত বিশ্বকাপ ভরাডুবির পর সিলেটে কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট জিতলেও মিরপুরে হার। নিউজিল্যান্ডে ফিরতি সফর শুরু হয়েছে হার দিয়েই।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সাদা বলে কখনোই জেতা হয়নি বাংলাদেশের। এবারও সফর শুরু হয়েছে হার দিয়েই। ডানেডিনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৩০ ওভারে নেমে আসায় দুদলই খেলেছে টি-টোয়েন্টির মেজাজে। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা যথারীতি কিউইদের বিপক্ষে খাবি খেয়েছে শান্ত-মিরাজরা।
তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা লাল-সবুজদের ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নেলসনে। বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়মিত চিত্র, হারলে কাঠগড়ায় উঠতে হয় ব্যাটারদের। আলাদা করে বললে, টপ অর্ডার ব্যাটারদের।
ওপরের দিকে কোনো ব্যাটার উইকেটে সেট হওয়ার পরও যদি বড় স্কোর করতে না পারেন, সেটার খেসারত দিতে হয় পুরো দলকেই। এই চিত্রটাই দেখা গেছে গত মাসে শেষ হওয়া ভারত বিশ্বকাপে। আর নিউজিল্যান্ড সফরেও ব্যতিক্রম হয়নি।
৩০-৪০ রানের বেশি লম্বা জুটি হয়নি। পরে এ নিয়ে আফসোস ঝরেছে প্রথম ওয়ানডেতে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা এনামুল হক বিজয়ের কণ্ঠে। তিনি নিজেই বললেন, সবাইকে দায়িত্ব নিতেই খেলতে হবে বড় ইনিংস।
এটা বুঝতে পারলেও, কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটাররা সেটি করে দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন ম্যাচের পর ম্যাচ। বুধবার একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হলে এক ম্যাচ বাকি থাকতে আরেকটি সিরিজ পরাজয় নিশ্চিত হবে টাইগারদের।
ডানেডিন থেকে নেলসনে যাওয়ার পথে লিটন-শান্তদের মুখে দেখা যায় হাসি। ম্যাচের পর সেই হাসি ধরে রাখতে হলে হাসি ফেরাতে হবে তাদের ব্যাটে। অবশ্য নেলসনেও বাংলাদেশ কখনো হাসতে পারেনি জয়ের হাসিতে।
২০১৬ সালে এই ভেন্যুতে দুই ওয়ানডে খেলা বাংলাদেশ্ দুটিতেই হেরেছে বড় ব্যবধানে। এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা, এই দলের কেবল মুস্তাফিজুর রহমানের আছে। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর খেলা ম্যাচে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে হারলেও উজ্জ্বল ছিল বাঁহাতি এই পেসারের পারফরম্যান্স।
৩.৪২ ইকোনমিতে ২ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার ছিলেন তিনি। এই বাঁহাতি পেসার নিশ্চয়ই কিছু উপায় বাতলে দেবেন সতীর্থদের। তবে জয়ের জন্য মূল কাজ করতে হবে ব্যাটারদেরই।
মন্তব্য করুন