লর্ডসে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৪৩ রানের জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল প্যাট কামিন্সের দল। ইংল্যান্ডকে ৩৭১ রানের লক্ষ্য দিয়ে অলআউট করে দেয় ৩২৭ রানে।
লর্ডস টেস্টের শেষ দিনে রোমাঞ্চের আশায় ছিল ক্রিকেট বিশ্ব, সেটা দুই হাত ভরে উপহার দেন স্টোকস। আরেকটু হলে দলকে জিতিয়ে দিচ্ছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না। তার চমৎকার দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস থামিয়ে সফরকারীদের উল্লাসে ভাসান জশ হেজেলউড। দারুণ জয়ে অ্যাশেজ ধরে রাখার মিশনে এক ধাপ এগিয়ে গেল প্যাট কামিন্সের দল।
৪ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে বাজবলের প্রচারকরা শেষ দিনের খেলা শুরু করে। পঞ্চম উইকেটে ১৩২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন বেন ডাকেট ও স্টোকস।
ডাকেট ১১২ বলে ৯ চারে খেলেন ৮৩ রানের ইনিংস। জশ হেজেলউডের বল ঠিকঠাক খেলতে না পারায় উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির হাতে জমা দিয়ে ইংলিশ ওপেনার সাজঘরে ফেরেন। খানিক পর ক্যামেরন গ্রিনের বলে বিতর্কিত স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন ১০ রান করা জনি বেয়ারস্টো। ইংল্যান্ড তখন ১৯৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে।
একপ্রান্তে অবিচল থেকে স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ১০৮ রানের জুটি গড়ে হারিয়ে যাওয়া জয়ের সম্ভাবনা আবারও জাগান স্টোকস। সেঞ্চুরি করেই থামেননি ইংল্যান্ডের অধিনায়ক, খেলেন দেড় শতাধিক রানের দারুণ ইনিংস।
স্টোকস ২১৪ বলে ৯ চার ও ৯ ছক্কায় করেন ১৫৫ রান। হেজেলউডের শর্ট বলে ক্যারির গ্লাভসবন্দি হওয়ায় তিনি থামতে বাধ্য হন। ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ৭ উইকেটে ৩০১ রান, জয়ের জন্য তখনো দরকার ৭০ রান। এরপর দ্রুতই অলি রবিনসন এবং ব্রড ড্রেসিং রুমে ফিরলে অস্ট্রেলিয়ার জয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
শেষ উইকেট জুটিতে ইংল্যান্ডকে প্রায় অসম্ভব এক জয়ের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেন জশ টাং ও জেমস অ্যান্ডারসন। কিন্তু স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে টাং আউট হলে সেই স্বপ্ন শেষ হয়। অস্ট্রেলিয়া জিতে নেয় লর্ডস টেস্ট।
দারুণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার এই জয়ে বড় অবদান রাখেন মিচেল স্টার্ক, কামিন্স ও হেজেলউড। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে তিন পেসারই নেন তিনটি করে উইকেট।
ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন অবশ্য স্টিভেন স্মিথ। প্রথম ইনিংসে ১১০ রান করা অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্যাটসম্যান দ্বিতীয়ভাগে করেন ৩৪ রান।
আগামী বৃহস্পতিবার হেডিংলিতে শুরু দুই দলের তৃতীয় টেস্ট।
মন্তব্য করুন