বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দশম আসর শুরুর আগে শিরোপার দাবিদার হিসেবেই ভাবা হচ্ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। তবে চার ম্যাচ শেষে ঠিক ভালো অবস্থায় ছিল না লিটন দাসের দলটি। চার ম্যাচ শেষে দুই জয় নিয়ে অখুশিই ছিল রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। লক্ষ্য ছিল চট্টগ্রামের বিপক্ষে পরের ম্যাচেই নিজেদের জাত চেনানোর এবং তাই করে দেখিয়েছে কুমিল্লার দলটি। তানভীর ইসলামের ঘূর্ণিতে উড়তে থাকা চট্টগ্রামকে রীতিমতো মাটিতে নামিয়ে এনেছে কুমিল্লার দলটি।
শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিংয়ে নেমে ১৬.৩ ওভারে চট্টগ্রামকে মাত্র ৭২ রানে অলআউট করেছে কুমিল্লা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে তানভীর ইসলাম ১৩ রানের খরচায় চার উইকেট নেন।
এবারের বিপিএলে তুলনামূলক কম শক্তির দল নিয়ে উড়তে থাকা চট্টগ্রামকে রীতিমতো মাটিতে নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করলেন কুমিল্লার বোলাররা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আগের ম্যাচেই দুর্দান্ত ফিফটি করা তানজিদ হাসান তামিম এদিন ফিরেন শূন্য রানে।
শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন আভিষ্কা ফার্নান্দো ও টম ব্রুস। তবে তানভীরের সামনে তারাও পথ হারান। চতুর্থ ওভারে তিনি ঘূর্ণিতে পরাস্ত করেন আভিষ্কাকে (৭)। এরপর ক্রিজে এসে স্থায়ী হতে পারেননি শাহাদাত হোসেন দীপু (৯) ও সৈকত আলী (০)। দলীয় ৩৫ রানে ৪ বলের ব্যবধানে দুজনকেই সাজঘরে ফেরান তানভীর।
যা লড়াই করার একাই করলেন টম ব্রুস। তবে ২০ বলে ২৭ রান করে এ স্পিনারের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন ব্রুসও। তানভীরের ঘূর্ণিতে চূর্ণবিচূর্ণ চট্টগ্রামের ইনিংসের মেরামত করতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার। এক নাজিবউল্লাহ জাদরানের ১১ রানের ইনিংস ছাড়া বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই প্রবেশ করতে পারেননি। তাতে মাত্র ৭২ রানে গুঁড়িয়ে যায় চট্টগ্রাম। যা এখন পর্যন্ত এই আসরে সর্বনিম্ন।
৪ ওভার বল করে এক মেডেনসহ মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন তানভীর। এক মেডেনসহ ১৪ রান খরচায় ২ উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম।
মন্তব্য করুন