বাংলাদেশ প্রিমিয়রি লিগের (বিপিএল) দশম আসরের শিরোপা জয়ী ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলা ডেভিড মিলারকে নিয়ে বোমা ফাটান পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম।
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) উপলক্ষে টেলিভিশন শো-তে কিংবদন্তি এ পেসার বলেন তিন ম্যাচের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার বরিশালের কাছ থেকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার পেয়েছেন, বাংলাদেশ মুদ্রায় পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। তবে এই তথ্যকে অসত্য বলে দাবি করেছেন ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, ওয়াসিমের বক্তব্য সম্পূর্ণই মনগড়া।
পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল এ স্পোর্টস-এর অনুষ্ঠান দ্য প্যাভিলিয়নে পিএসএলের ম্যাচশেষে বিশ্লেষণে নিজে থেকে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘শেষ তিন ম্যাচের জন্য ডেভিড মিলারকে বরিশালের মালিকপক্ষ থেকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার পারিশ্রমিক দিয়েছে। এমনকি ফাইনাল ম্যাচ খেলার জন্য নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানও পিছিয়েছেন মিলার।’
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে যোগাযোগ করা হয় ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমানের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওয়াসিমের (ওয়াসিম আকরাম) এ বক্তব্য একেবারেই মনগড়া। এটি ফলস স্টেটমেন্ট (মিথ্যা বিবৃতি)। ওয়াসিম আকরাম সম্ভবত আবেগী হয়ে এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।’
এ সময় ফরচুন বরিশালের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘ওয়াসিম আকরাম কি ডেভিড মিলারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন! বললে এ বক্তব্য দিতে পারতেন না।’
ডেভিড মিলারের সঙ্গে দুটি ম্যাচের চুক্তি করেছিল বরিশাল। কিন্তু বিপিএলের ফাইনালে ওঠায় প্রোটিয়া এই ব্যাটারকে আরও একটি ম্যাচ খেলার অনুরোধ জানানো হয়। মিজানুর রহমান বলেন, ‘ফরচুন বরিশালের সবাই এমনকি টিম বয় পর্যন্ত মিলারকে অনুরোধ করেছে। ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যাগ গোছানো হয়ে গেলেও সবার অনুরোধ ফেলে যেতে পারেননি মিলার।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজে ওকে (ডেভিড মিলারকে) অনুরোধ করি ফাইনাল খেলে যাওয়ার জন্য। ও সেই অনুরোধ রাখেন। বিয়ের তারিখ পেছানোর তথ্যও অসত্য।’
কিলার-মিলারের পারিশ্রমিক প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ফরচুর বরিশালের মালিক বলেন, ‘মিলারের সঙ্গে ১০ হাজার মার্কিন ডলার চুক্তি হয়েছিল। সেই অঙ্ক ওয়াসিমের কাছে কীভাবে দেড় লাখ মার্কিন ডলার হয়ে গেল তা বোধগম্য নয়। এ ধরনের পারিশ্রমিকের কথা চিন্তা করাও অবান্তর।’মন্তব্য করুন