হাতে কয়েক প্যাকেট খাবার নিয়ে সিটে বসে আছেন একজন দর্শক। দাম জিজ্ঞেস করতেই তার উত্তর, ‘বলতেছেন দাম কেমন! একটা করে পেঁয়াজু, জিলাপি, বেগুনি, আলুর চপ ও কিছু ছোলাবুট ভাজা—দাম ১০০টাকা।’ শুধু তাই নয়, গ্যালারিতে দুই লিটার পানির বোতল বিক্রি হচ্ছে কোম্পানির দেওয়া নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে আড়াইগুণ বেশি দামে! রোজা রেখে মাঠে আসা দর্শকদের নতুন বিড়ম্বনার নাম মাঠের খাবারের ব্যবস্থাপনা। দর্শকদের এক প্রকার বাধ্য করেই চলছে খাবার ব্যবসা।
প্রথম ওয়ানডের তুলনায় গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে দর্শকের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। ২২ হাজার দর্শকধারন ক্ষমতার গ্যালারি। রোজার দিন হওয়ার পরও আনুমানিক ৫-৭ হাজারের মতো দর্শক উপস্থিতি দেখা গেছে। কিন্তু তাদের জন্য গ্যালারিতে থাকা ইফতারের ব্যবস্থা আবারও প্রশ্ন তোলার মতো।
খাবারের মূল্য তালিকা থেকে দেখা গেছে, ফ্রাইড চিকেন ও ফ্রাইড রাইস প্রতি প্যাকেট ২০০ টাকা। ফ্রাইড চিকেন আলাদা ১২০ টাকা, বিফ তেহারি ১৮০ টাকা, চিকেন বার্গার ১৬০, চিকেন স্যানডুইচ ১৪০ টাকা, এগ রাইচ ১২০ টাকা। অবশ্য এ খাবারের প্যাকেটগুলো পরিমাণে কম ও দামে ডাবল বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। অনেকে বলছেন, রোজা রেখে এ ধরনের খাবার খাওয়ার উপযোগী না। আবার অনেকে বলছেন, খাবারের এমন অব্যববস্থাপনার কারণেই নাকি রোজার দিনে মাঠে আসতে আগ্রহী হন না তারা। কেননা রোজা রেখে স্টেডিয়ামে এসে ইফতার করতে গিয়ে বিড়ম্বনা পোহাতে হয় তাদের।
মন্তব্য করুন