এবারের চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে কয়েকটি দল হতাশ করেছে তার মধ্যে একটি হলো নিউজিল্যান্ড। কেইন উইলিয়ামসন-ট্রেন্ট বোল্টরা ফেভারিট হয়ে আসর শুরু করেও জিততে পারেনি একটি ম্যাচ। তাই আসরের পরবর্তী রাউন্ডে তাদের যাওয়া ঝুলে ছিল অন্য দলগুলোর ওপর। তবে অন্য দলগুলো টিকতে পারল না আফগান বুলডোজারের সামনে ফলে এবারের আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো কিউইদের।
শুক্রবার (১৪ জুন) ত্রিনিদাদে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাপুয়া নিউগিনি ও আফগানিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচে জয় তুলে নেওয়া আফগানদের সামনে সমীকরণ ছিল সহজ। পাপুয়া নিউগিনিকে হারাও আর সুপার এইটে যাও। এই সমীকরণ খুব সহজেই সমাধান করেছেন নবী-রশীদরা। প্রথমে ব্যাট করা পাপুয়া নিউগিনির ৯৬ রানের টার্গেট আফগানরা পেরিয়ে যায় ৭ উইকেট ও ২৯ বল বাকি থাকতেই। ফলে পঞ্চম দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করল আফগানিস্তান। তাদের এই জয়ে বিদায় হলো নিউজিল্যান্ডের।
৯৬ রানের ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা প্রথম দুই ম্যাচের মতো হয়নি আফগানদের। প্রথমেই দুই উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে আফগানরা। দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজকে অল্প রানে হারায় আফগানরা।
মাঝে ওমারজাইও ফিরেন স্বল্প রান করে। তবে গুলবাদিন নায়েব এবং মোহাম্মদ নবী দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। এরমধ্যে নায়েব ৩৬ বলে ৪৯ রানের অপরজিত ইনিংস খেলেন আর নবী অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ১৬ রানে।
এর আগে মাত্র ৯৫ রানেই থামে পাপুয়া নিউ গিনির ইনিংস। পিএনজির হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে কিপলিন ডোরিগারের ব্যাট থেকে। দুই চারে ৩২ বলে ২৭ রান করেন তিনি। আফগানদের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন ফজলহক ফারুকি। ৪ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
ফজলহক ফারুতি ছাড়াও নাভিন-উল হকও নেন ২ উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন নুর আহমেদ। আর পিএনজির চার ব্যাটসম্যান হয়েছেন রান আউট।
মন্তব্য করুন