ফিফা আন্তর্জাতিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চীনে এসেছে কাতার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা। তবে চীনের বেইজিং বিমানবন্দরে নামার সঙ্গেই আটক হয়েছিলেন সর্বকালের সেরা ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। অবশ্য আটকের ২ ঘণ্টার মধ্যেই বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে ছেড়ে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আগামী ১৫ জুন বিকেল ৬টায় বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। গত ১০ জুন বেইজিং আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান মেসির আর্জেন্টিনা। বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে সাত বারের ব্যালন ডি’ অর জয়ী তারকাকে আটক করে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ।
মেসি যে পাসপোর্ট নিয়ে চীনে এসেছেন তা নিয়েই বিপত্তি। ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্টরা দেখতে পান যে, ভিসা অনুমোদন ছাড়াই চীনে চলে এসেছেন আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার। ঘটনার জেরে মেসিকে কিছুক্ষণ আটক করে রাখে বিমানবন্দরের পুলিশ। আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে ঘিরে ধরে কথা বলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দ্রুতই ছড়িয়ে পরে মেসিকে আটকের ঘটনা।
আর্জেন্টিনার পাশাপাশি স্পেনেরও নাগরিকত্ব রয়েছে এই ক্ষুদে ফুটবল জাদুকরের। দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় মেসির কাছে দুই দেশেরই পাসপোর্ট রয়েছে। আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে আসলেও ভুল করে সাথে স্পেনের পাসপোর্ট নিয়ে চীন চলে আসেন। স্পেনের পাসপোর্ট নিলেও ভিসার অনুমোদন নেননি মেসি।
তবে স্প্যানিশ পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই তাইওয়ানে প্রবেশ করতে পারে। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মনে করেছিলেন যে, তাইওয়ান চীনের একটা অংশ। সেজন্য তিনি ভিসার জন্য আবেদন করেননি। এরপর অবশ্য কর্তব্যরত কর্মকর্তারা দ্রুতই মেসির ভিসা অনুমোদন দিয়ে দেয়।
মন্তব্য করুন