দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসির অনুপস্থিতিতে যেন আত্মা হারিয়ে ফেলেছিল ইন্টার মায়ামি। নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন লিওনেল মেসি ও আরেক গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার জর্দি আলবা, ইনজুরিতে ছিলেন আরও কয়েকজন নিয়মিত—ফলাফল: ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে দর্শকদের হতাশ করে গোলশূন্য ড্রয়ে থেমে যেতে হলো হেরনসদের।
শনিবার রাতে এমএলএসের গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে সিনসিনাটির বিপক্ষে ০-০ গোলের ড্র করলেও খেলার মাঠে মায়ামির পারফরম্যান্স ছিল একেবারেই নিষ্প্রভ। গত সপ্তাহেই যাদের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল মেসির দল, এবার নিজেদের মাঠে অন্তত প্রতিশোধ নেওয়ার একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু শূন্যে থেমে সেই সুযোগও হাতছাড়া।
এই ম্যাচে লিওনেল মেসি ও জর্দি আলবা দুজনই ছিলেন নিষিদ্ধ। অল-স্টার ম্যাচে না খেলায় এমএলএস তাদের এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে। সঙ্গে মিস করেছেন ম্যাক্সি ফ্যালকন (হলুদ কার্ড জমা) এবং ইনজুরিতে ছিলেন অস্কার উস্তারি, ইয়ান ফ্রে, বালতাসার রদ্রিগেজ ও তরুণ আলেন ওবানদো। ফলে দলে দেখা গেল একাধিক খেলোয়াড়কে অস্বাভাবিক পজিশনে। মিডফিল্ডার বেঞ্জামিন ক্রেমাসকিকে পর্যন্ত খেলতে হয় লেফট-ব্যাকে!
মেসির অভাবটা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয় আক্রমণভাগে। বল দখলে আধিপত্য থাকলেও, প্রতিপক্ষের বক্সে গিয়ে কার্যকর আক্রমণ গড়তে পারেনি মায়ামি। জর্দি আলবার অনুপস্থিতিতে দুই প্রান্ত থেকেও সৃষ্টিশীলতা ছিল অনুপস্থিত।
তবে মাঝমাঠে খেলা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন সার্জিও বুসকেটস ও ক্রেমাসচিরা। সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিল সিনসিনাটির তারকা ইভান্ডারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ম্যাচের শেষদিকে উত্তেজনা ছড়ায় এক গোল বাতিলকে ঘিরে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার মাইলস রবিনসন হেড করে বল জালে পাঠালেও, ভিএআরে দেখা যায়, তিনি প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের মুখে হাত দিয়ে ফাউল করেছিলেন। ফলে সেই গোল বাতিল হয়।
উল্টো দিকে মায়ামিও পেয়েছিল জয়ের সুযোগ। তবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করে দিলে শেষ রক্ষা হয় না।
গত সপ্তাহের পরাজয়ের প্রতিশোধ না নিতে পারলেও শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অন্তত হারের হাত থেকে বাঁচল মায়ামি। তবে পূর্ণ পয়েন্ট পেলে ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষে উঠে আসার সুযোগ ছিল তাদের সামনে।
মন্তব্য করুন