বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের গন্তব্য হতে পারত ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু ইউরোপিয়ান দলবদল মৌসুমের শেষ দিনে আর্জেন্টাইন তারকা অপেক্ষায় থেকেও পাননি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের কাঙ্ক্ষিত ফোনকল। শেষ পর্যন্ত অখ্যাত এক বেলজিয়ান, সেন্নে ল্যামেন্সকেই ভরসা হিসেবে বেছে নিল রেড ডেভিলরা। তবে শেষ দিন আসলে কী ঘটেছিল?
চলতি মৌসুমে আন্দ্রে ওনানার জায়গায় নতুন এক নম্বর গোলকিপার খোঁজা ম্যানইউর অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল। নাম উঠেছিল অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত মার্টিনেজের। তবে শেষ মুহূর্তে ইউনাইটেড শুধু একটি ফোন করে ভিলা কর্তৃপক্ষকে জানায় সম্ভাব্য লোন চুক্তির কথা, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য ছিল না।
৩২ বছর বয়সী মার্টিনেজ নাকি নিজেই আর্জেন্টাইন সতীর্থ লিসান্দ্রো মার্টিনেজকে অনুরোধ করেছিলেন ম্যানইউ কর্মকর্তাদের কাছে তার হয়ে কথা বলার জন্য। এমনকি নতুন কোচ রুবেন আমোরিমের সঙ্গেও কয়েক দফা আলোচনায় বসেছিলেন তিনি। পর্তুগিজ এই কোচও মনে করতেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষকের চরিত্র ও মেন্টালিটি ইউনাইটেডের জন্য বড় সম্পদ হতে পারে। তাহলে শেষ পর্যন্ত কেন হয়নি চুক্তি?
সমস্যা তৈরি করে মার্টিনেজের মোটা অঙ্কের বেতন ও ট্রান্সফার ফি। অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে ২০২৯ সাল পর্যন্ত তার চুক্তি রয়েছে, আর সেখানকার বেতনই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে থাকা ওনানার চেয়ে বেশি। তাছাড়া ভিলার দাবি করা ৩০ মিলিয়ন পাউন্ড ছাড় ফি দিতে রাজি হয়নি ইউনাইটেড।
ফলে উপায় না দেখে অবশেষে ১৮ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে রয়্যাল আন্টওয়ের্প থেকে ২২ বছর বয়সী সেনে ল্যামেন্সকে নিয়ে আসে ম্যানইউ। অন্যদিকে মার্টিনেজকে ফিরে যেতে হয়েছে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে, ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির জন্য।
ফলে একদিকে সুযোগ হারানোর আক্ষেপ, অন্যদিকে ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় বাজি—ইউনাইটেডের গোলপোস্ট এখন আর অভিজ্ঞ মার্টিনেজ নয়, ভরসা এক অচেনা বেলজিয়ানের হাতেই।
মন্তব্য করুন