মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বার্সেলোনার আকাশে উদীয়মান নক্ষত্র লামিন ইয়ামাল। তার ফুটবল ছন্দ, পরিণত সিদ্ধান্ত, আর অজস্র রেকর্ড ইতোমধ্যেই তাকে বিশ্বের নজরকাড়া ফুটবলারদের তালিকার শীর্ষে তুলে দিয়েছে। এবার সেই উজ্জ্বল প্রতিভার পিছু নিয়েছে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল—আর প্রস্তাবের অঙ্ক শুনলে চোখ কপালে উঠবে যে কোনো ক্লাব কর্মকর্তার!
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম Fichajes.net-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল হিলাল নাকি ইয়ামালকে দিচ্ছে অবিশ্বাস্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫২৬০ কোটি টাকা)—সাত বছরের চুক্তির বিনিময়ে।
এই পরিমাণ অর্থ ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফি হিসেবে রেকর্ড গড়ে দিত। কিন্তু বার্সেলোনা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে— ‘লামিন ইয়ামাল বিক্রির জন্য নয়।’
কাতালান ক্লাবের ভেতর থেকে জানানো হয়েছে, তারা এমন কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাননি। এমনকি পেলেও বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না। ক্লাব সূত্রের ভাষায়, ‘লামিন আমাদের ভবিষ্যৎ, আমাদের প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু। সে বিক্রির তালিকায় নেই।’
এটাই প্রথম নয়, ইয়ামালকে ঘিরে সৌদি বা ইউরোপীয় জায়ান্টদের আগ্রহ। গত বছর পিএসজি তাকে নিয়ে ২০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল—সেটিও ফিরিয়ে দিয়েছিল বার্সা।
ইয়ামাল অবশ্য গ্রীষ্মেই ক্লাবের সঙ্গে নতুন করে ২০৩১ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছেন। এতে তিনি স্কোয়াডের সর্বোচ্চ বেতনভোগীদের একজন হয়েছেন।
চুক্তিতে রয়েছে ১০ মিলিয়ন ইউরো স্থায়ী বেতন, ছয় বছরে ছড়িয়ে দেওয়া ২৫ মিলিয়নের সাইনিং বোনাস এবং পারফরম্যান্সভিত্তিক বিভিন্ন ইনসেনটিভ। সব মিলে তার বার্ষিক আয় পৌঁছাতে পারে ২০ মিলিয়ন ইউরোতে।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে এমন চুক্তি ফুটবল ইতিহাসেই বিরল, আর তা-ই বোঝায় ক্লাবের তার প্রতি আস্থা কতটা গভীর।
তবে মাঠের লড়াইয়ে ইয়ামালের সামনে আপাতত বাধা রয়েছে চোট। জাতীয় দলের বিরতিতে কুঁচকির চোটে পড়েছেন তিনি। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ফেরার পর আবারও পিএসজির ম্যাচে পুরো সময় খেলতে গিয়ে ব্যথা ফিরে আসে। ফলে সেভিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি, জাতীয় দলের ডিউটি থেকেও ছুটি নিতে হয়েছে তাকে।
মন্তব্য করুন