

শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা, কয়েকটি ভয় ধরানো মুহূর্ত—সব মিলিয়ে নাটকীয় এক ম্যাচ শেষে হাসল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শনিবার ব্রাইটনের বিপক্ষে ৪-২ গোলের জয় নিয়ে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ সালের পর প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগে টানা তৃতীয় জয় পেল তারা।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের এই ম্যাচে শুরুটা ছিল একেবারেই ইউনাইটেডের দাপটে। নতুন ক্লাবে নিজের গোল-খরা ভাঙলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যাথুস কুনহা, যিনি ১৬ ম্যাচ পর পেলেন গোলের দেখা। তার দারুণ শটে দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর ভাগ্যের সহায়তায় স্কোরলাইন দ্বিগুণ করেন ক্যাসেমিরো। এরপর ব্রায়ান এমবেউমো করেন দলের তৃতীয় গোল, যার ফলে এক ঘণ্টা পর্যন্ত ইউনাইটেড ছিল সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।
কিন্তু এরপরই শুরু হয় নাটক। পুরনো ক্লাবের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে ব্যবধান কমান ড্যানি ওয়েলবেক। শেষ মুহূর্তে চারালামপোস কোস্টৌলাসের কাছাকাছি পোস্টের হেডে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-২—তখন ইউনাইটেডের খেলোয়াড়দের চোখেমুখে দেখা যাচ্ছিল উদ্বেগের ছাপ।
শেষ পর্যন্ত ইনজুরি টাইমে এমবেউমোর চতুর্থ গোলেই স্বস্তি ফেরে। ১২ গজ দূর থেকে জোরালো শটে বল জালে পাঠিয়ে নিশ্চিত করেন জয়—তার জোড়া গোলেই জয় ও পায় ইউনাইটেড।
এই জয়ের ফলে রুবেন আমোরিমের দল উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে, অর্থাৎ চ্যাম্পিয়নস লিগের যোগ্যতা অঞ্চলে। তিন সপ্তাহ আগেও যখন সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের আশঙ্কায় কোচের চাকরি নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল, এখন সেই দলেই দেখা যাচ্ছে আত্মবিশ্বাস ও সামঞ্জস্যের ছাপ।
গত কয়েক মৌসুমে ট্রান্সফার নীতির জন্য সমালোচিত হয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু এ বছর কুনহা ও এমবেউমোকে প্রায় ১৩০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে দলে টানা এখন মনে হচ্ছে সঠিক সিদ্ধান্ত।
এখন প্রশ্ন শুধু একটাই—এই ধারাবাহিকতা তারা কতদূর ধরে রাখতে পারে।
মন্তব্য করুন