

ইউরোপীয় ফুটবলে প্রতিভা হারিয়ে যাওয়ার গল্প নতুন নয়। কিন্তু বার্সেলোনা একসময় ভয়ংকরভাবে আশঙ্কায় ছিল—এক রাতেই যেন হারিয়ে যেতে পারে লামিন ইয়ামালের মতো বিস্ময়বালক। মাত্র ১৫ বছর বয়সে মূল দলের অনুশীলনে নামতেই যেভাবে আলো কাড়লেন স্প্যানিশ-মরোক্কান এই উইঙ্গার, তাতে ক্লাবের অভ্যন্তরে তৈরি হয়েছিল এক অদ্ভুত টানটান পরিস্থিতি। বড় প্রতিপক্ষেরা তাকে দলে টানতে প্রস্তুত, আর বার্সা তখনও তার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করতে পারেনি। সেই সময়কার ঘটনাই এখন সামনে এনেছেন ক্লাবের সাবেক স্পোর্টিং ডিরেক্টর জর্দি ক্রুইফ।
ক্রুইফ স্পষ্ট ভাষায় জানান, ইয়ামালকে হারানোর ভয় ক্লাবকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। স্প্যানিশ দৈনিক স্পোর্ট-কে তিনি বলেন, “এক পর্যায়ে সত্যিই মনে হচ্ছিল লামিন আমাদের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। আমরা তার অভিষেক পিছিয়ে দিয়েছিলাম, যতক্ষণ না নিশ্চিত হচ্ছিলাম যে তাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ধরে রাখতে পারব।”
তার দাবি, ইয়ামাল যখন মূল দলে অনুশীলনে উঠেছিলেন, তখন মাত্র পাঁচ মিনিট দেখেই সেসময়ের কোচ জাভি হার্নান্দেজ বিস্ময়ে তাকিয়ে বলেছিলেন—“এ তো অন্য গ্রহের প্রতিভা।”
কিন্তু ঐ মুহূর্তেই তাকে খেলাতে নামানো যেত না; কারণ তখনো তার কোনো বাধ্যতামূলক চুক্তি ছিল না। ফলে একটি ভুল পদক্ষেপেই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের প্রলোভনে হারানো যেত ফুটবলের ‘নতুন মেসি’কে।
ধৈর্যের ফল মিলেছিল। বয়স ১৮ পূর্ণ হওয়া মাত্র ইয়ামালকে দেওয়া হয় দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি—বিপুল আর্থিক সুবিধাসহ। লা মাসিয়ার ইতিহাস গড়া যারা কখনো দেখেছেন, তাদের মতে ইয়ামাল এখন সেই ধারার সবচেয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ।
তার ফুটবল যাত্রা এতটাই আগুনঝরা যে ইতোমধ্যেই তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে কোপা ট্রফি, গোল্ডেন বয় পুরস্কার ও ইউরোপ সেরা যুব ফুটবলারের তকমা। জাতীয় দলে তিনি ইউরো জয়ের অংশ, আর ক্লাব পর্যায়ে লা লিগা শিরোপারও মালিক।
মন্তব্য করুন