

দেশের ফুটবলে বছরজুড়ে গল্প ছিল উত্থান–পতনের। মাঠের লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তের হার, বিদেশি মাঠে জেদী লড়াই—সব মিলিয়ে কাটানো বছরটা নাটকীয়ই ছিল বাংলাদেশের জন্য। তবে এক দিক থেকে বছর শেষটা এনে দিল বড়সড় স্বস্তি—আর্থিক দিকের সাফল্য। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তিনটি হোম ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয় করেছে ৪ কোটি টাকারও বেশি, যার মধ্যে ভারতের বিপক্ষেই এসেছে সর্বোচ্চ পরিমাণ।
১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে বছর শেষ করেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের উত্তেজনা ও দর্শকদের বিপুল আগ্রহের প্রভাব পড়েছে আয়ের হিসাবেও। বাফুফের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ম্যাচ থেকে সংগঠনের আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা তিন ম্যাচের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে ৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে ঢাকায় লড়েছিল লাল-সবুজের দল। দারুণ রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচটি শেষ মুহূর্তের গোল হজম করে বাংলাদেশ হেরে গেলেও গ্যালারির আগ্রহ কমেনি একটুও। ওই ম্যাচ থেকে বাফুফে আয় করেছে ১ কোটি ২ লাখ টাকা।
বাছাইয়ের প্রথম হোম ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ দিকে গোল হজম করে ২-১ ব্যবধানে হারে। ফল হতাশাজনক হলেও টিকিট বিক্রি বাফুফেকে হতাশ করেনি। সে ম্যাচ থেকে সংগঠনের আয় দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে বাফুফের মোট আয় ৪ কোটি ৫ লাখ টাকা—যা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ফুটবলের জন্য দৃষ্টান্তমূলক।
হামজা-সামিত যুগে দলে এসেছে নতুন প্রাণ। জায়ান আহমেদ, ফাহামেদুল ইসলাম, কিউবা মিচেলের মতো ফুটবলারদের আগমনে জাতীয় দলের খেলা ঘিরে আগ্রহ আগের চেয়ে অনেক বেশি—যার সরাসরি প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে টিকিট বিক্রির আয়েই।
ফলাফল কখনো হতাশ করেছে, কখনো উজ্জীবিত করেছে; কিন্তু দর্শক-আগ্রহের এই ধারাবাহিকতা বাফুফেকে নতুন মৌসুমের জন্য বড় আশার বার্তাই দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন