

ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তকে দেশটির বিমানবন্দর থেকে আটক করেছে পুলিশ। কলকাতার ডিজি রাজীব কুমার এই তথ্য নিশ্চিত করেন। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেশটির রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, ‘মূল উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি লিখিত মুচলেকা দিয়েছেন, শনিবারের দর্শকদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। দর্শকদের অনেকেই ভেবেছিলেন, মেসি হয়তো মাঠে নেমে খেলবেন। মেসি যতটা সময় মাঠে ছিলেন, সেটাও কম বলেই মনে করছেন দর্শকদের অনেকে। সবমিলিয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এখানে।’
কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল জায়েদ শামিম জানান, ‘এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে, এক্ষেত্রে কোন ধারা দেওয়া হবে তা আমরা বিবেচনা করছি। বিশৃঙ্খলার ঘটনা সল্ট লেকে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রধান উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে ইতোমধ্যে। ভক্তরা খুবই বাজে আচরণের শিকার হয়েছেন। পুরো ঘটনাটিই ভালোভাবে তদন্ত করা হবে।’
এর আগে, আয়োজকদের অব্যস্থপনার কারণে দর্শকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। মাঠে বোতল ছোড়ার পাশাপাশি ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন দর্শকরা। সব মিলিয়ে স্টেডিয়াম পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। মেসিকে দেখতে উপস্থিত হওয়া অনেক সমর্থকই দাবি করেন, তাদের সঙ্গে ‘স্ক্যাম’ করা হয়েছে। অনেক টাকা খরচ করেও আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে একনজর দেখতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে দেখা যায় উপস্থিত সমর্থকদের।
মেসিকে দেখেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এক সমর্থক বলেন, ‘কোথায় থেকে দেখব। মৌমাছির চাকের মতো তাকে ঘিরে রাখল। তারাই যেন আসলো। আমরা কিছুই না। এত মানুষের এত আবেগ। সারাজীবনের স্বপ্ন নিয়ে আমরা এসেছি মেসিকে দেখব বলে।’
আরেক সমর্থক বলেন, ‘টাকা তো একটা ব্যাপার। নেতা-মন্ত্রীরা মেসিকে দেখল সেই টাকাটা আমরা দিলাম। গাড়ি দিয়ে একবার ঘুরিয়ে নিলে অন্তত সবাই মেসিকে দেখতে পেত। আমরা টাকা দিলাম নেতারা ছবি তুলে চলে গেল।’
মন্তব্য করুন