একাদশে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ছিলেন না ডি মারিয়া-ওতামেন্ডিসহ বেশ কয়েকজন। তারপরও এশিয়া সফরে ইন্দোনেশিয়াকে হারাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি আর্জেন্টিনাকে। সোমবার জাকার্তায় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ইন্দোনেশিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
র্যাঙ্কিংয়ে ১৪৮ ধাপ পিছিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে প্রথমার্ধে বেশ ছন্নছাড়া ফুটবল খেলার পর দ্বিতীয়ার্ধে স্বভাবসলুভ ঢঙে দেখা যায় আর্জেন্টিনাকে। দলের হয়ে একটি করে গোল করেন পারেদেস ও রোমেরো। দারুণ জয় দিয়ে এশিয়া সফর শেষ করল আলবিসেলেস্তা শিবির।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার গেলোরা বাং কর্ন স্টেডিয়ামে লড়াইটা ছিল র্যাঙ্কিংয়ে এক ও ১৪৯ নম্বরে থাকা দলটির। প্রত্যাশিত জয়ই পেয়েছে মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার লড়াইটা বলতে গেলে ছিল অসম। তারপরও ঘরের মাঠে লড়াই করেছে ইন্দোনেশিয়া। গোলের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত আর্জেন্টিনার। তবে এলোমেলো আক্রমণের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
দুই দলের মধ্যে পার্থক্য ছিল যোজন-যোজন, যা পরিলক্ষিত হয়েছে খেলায়। শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুই দলের এই প্রথম সাক্ষাতে শুরু থেকে বলের দখল নেয় আর্জেন্টিনা। ১৪ মিনিটে প্রথম গোলের দারুণ সুযোগ পায় আলবিসেলেস্তা শিবির। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সদ্য ট্রেবল জেতা আলভারেজের থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে জিওভানি লো সেলসোর বুলেট শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ইন্দোনেশিয়ার গোলরক্ষক।
দুই মিনিট পরই এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। গোল পেয়েই যাচ্ছিলেন নিকোলাস গঞ্জালেজ। তবে এই ফরোয়ার্ডের শট ফেরান ইন্দোনেশিয়ার গোলরক্ষক আরি।
২৯তম মিনিটে আর্জেন্টিনার গোল না পাওয়াটাই ছিল বিস্ময়কর। ইন্দোনেশিয়ার বক্সের মাথায় তাদের এক খেলোয়াড় বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে পেয়ে যান অভিষিক্ত ফাকুন্দো বুনানোত্তি। এই মিডফিল্ডারের গোলরক্ষককে কাটিয়ে নেওয়া শট গোললাইন থেকে ফেরান এক ডিফেন্ডার। ফিরতি বলে আলভারেজের শটও প্রতিহত হয় রক্ষণের প্রচেষ্টায়।
অবশেষে ৩৮তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। পারেদেসের চোখ ধাঁধানো এক গোলে অভিভূত হয় স্টেডিয়ামে আসা হাজারো দর্শক।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বড় সুযোগ পায় ইন্দোনেশিয়া। সতীর্থের কাট-ব্যাকে বক্সের ভেতর থেকে আইভার ইয়েনেরের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য স্বাগতিকদের এটিই ছিল একমাত্র শট। বিপরীতে ১৫টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রাখে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ সমতায় নেওয়ার আরেকটি সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। তবে দুর্দান্ত সেভ করে আর্জেন্টিনার লিড অক্ষত রাখেন গত বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লাভস বিজয়ী এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
কিছুক্ষণ পরেই গোল ব্যবধান বাড়ায় আর্জেন্টিনা। লো সেলসোর কর্নারে বক্সে লাফিয়ে হেডে গোলটি করেন ডিফেন্ডার রোমেরো।
বাকি সময়ে সুযোগ পেয়েও গোল ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বিশ্বকাপজয়ীরা। দ্বিতীয় গোলের পর গঞ্জালেসের বদলি নামা আলেহান্দ্রো গার্নাচো যোগ করা সময়ে ভালো একটি সুযোগ পান। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ফরোয়ার্ডের শট ফিরিয়ে ব্যবধান আর বাড়তে দেননি স্বাগতিক গোলরক্ষক।
মন্তব্য করুন