এমএ রেফারিজ কোর্সে উত্তীর্ণ হতে না পারা রেফারিদের ফিফায় নাম পাঠানো নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন গৌতম কর। এ নিয়ে বিভক্ত হয়ে যায় রেফারিজ কমিটি। পদত্যাগ করে সে দ্বন্দ্বে রণেভঙ্গ দিয়েছেন বাংলাদেশের রেফারি পরামর্শক হিসেবে কাজ করা ভারতীয় এ রেফারি ইন্সট্রাক্টর!
৫ অক্টোবর পদত্যাগ করেছেন গৌতম কর। তার সঙ্গে বাংলাদেশের দুই বছরের চুক্তি ছিল। কিন্তু কেউ থাকতে না চাইলে তো জোর করে ধরে রাখা যাবে না’—ভারতীয় রেফারিজ এক্সপার্টের পদত্যাগের বিষয় নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
১৯ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ফিফা এমএ রেফারিজ কোর্স। পরীক্ষায় পুরুষ বিভাগে কোনো রেফারি উত্তীর্ণ হতে পারেননি। সহকারীদের মধ্যে পাস করেছেন চারজন। নারী বিভাগে রেফারি হিসেবে জয়া চাকমা অনুত্তীর্ণ হয়েছেন। পাস করেন সহকারী রেফারি সালমা আক্তার মনি। ফল বিপর্যয়ের পর পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করে রেফারিজ কমিটি। এ নিয়ে আপত্তি ছিল গৌতমের। তা উপেক্ষা করে ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষার পর পুরুষ বিভাগে রেফারি হিসেবে পাঁচজনের নাম ফিফায় পাঠানো হয়েছে। সহকারী হিসেবে আরও ৭ জনের নাম পাঠানো হয়। নারী বিভাগে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও জয়া চাকমার নাম পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে সহকারী হিসেবে পাঠানো হয় সালমা আক্তার মনির নাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রেফারিদের এমন ফল বিপর্যয়ের দায় গৌতমের ওপর চাপানো হয়েছে। এ রেফারি ইন্সট্রাক্টরের বিরুদ্ধে রেফারিজ কমিটি থেকে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। রেফারিজ কমিটিতে কাজ করা স্থানীয় একাধিক সাবেক রেফারি এই ইস্যুতে জোটবদ্ধ হন। মূলত জোটবদ্ধ রেফারিজ কমিটির কর্মকর্তারাই গৌতমকে তাড়িয়েছেন! সাবেক ফিফা রেফারি গৌতম নেপালের রেফারি ডিরেক্টর হিসেবে উন্নতির ছাপ রাখেন। মূলত নেপালের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েই তাকে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এখানে কাজ করার শুরু থেকে নানা ইস্যুতে টানাপড়েন চলছিল।
আবাসন সংক্রান্ত জটিলতায় গৌতম নাখোশ—এমন খবর সামনে এসেছিল মার্চে। সেসব জটিলতা পেছনে ফেলে দুপক্ষ স্বাভাবিকভাবেই পথ চলছিল। কিন্তু যে কাজের জন্য গৌতমকে নিয়োগ দেওয়া, সে রেফারিজ কোর্স ইস্যুতে বাংলাদেশে কাজ করার যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের রেফারিজ সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ এ ব্যক্তি।
মন্তব্য করুন