ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওয়ালা। ফুটবলে কোচিং করিয়ে তিনি এতটাই সাফল্য পেয়েছেন যে সর্বকালের সেরা কোচদের কাতারে তাকে রাখলে ভুল কিছু হবে না। ইউরোপে কোচিং ক্যারিয়ারে যা যা জেতার দরকার সবই জিতে ফেলেছেন আগেই। তারপর ম্যানচেস্টার সিটিকে গেল বছরই এনে দিলেন মর্যাদার ট্রেবেল। তিনি জানেন কীভাবে একজন ফুটবলারের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনা যায়।
গার্দিওয়ালা যে শুধু দারুণ একজন কোচ তাই নয়, ভালো পরামর্শ দাতাও। কীভাবে বিপদ থেকে বাঁচা যায় সেই টোটকাও ভালো করে জানেন সিটির গুরু। সম্প্রতি ম্যান সিটির ফার্স্ট টিমের ফুটবলার জ্যাক গ্রিলিশের বাসায় ঘটেছে চুরির ঘটনা। তার বাসা থেকে প্রায় এক মিলয়ন পাউন্ড স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় একটি অপরাধী চক্র। তারপরই এ বিষয়ে ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে আজকের প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় পরামর্শ দেন পেপ গার্দিওয়ালা।
সিটির এই স্প্যানিশ কোচ খেলোয়াড়দের সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘এখন সাবধান থাকতে হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি থাকা যাবে না। লোকে আপনার ব্যাপারে যত কম জানবে, ততই ভালো। কী করছেন, কোথায় আছেন—লোকে এসব ব্যাপার জানার অপেক্ষায় থাকে।’
গার্দিওলা সামাজিক শ্রেণিবিভেদ নিয়েও কথা বলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবলারদের বাসায় চুরি-ডাকাতি যেন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুতে প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব ওয়েস্ট হামের ডিফেন্ডার কুর্ট জুমার বাসায়ও ঘটেছিল চুরির ঘটনা। চোরেরা সে সময় জুমার বাসা থেকে নগদ এক লাখ পাউন্ড নিয়ে সটকে পড়ে।
লন্ডনের বাড়িতে ডাকাতি হওয়ায় কাতার বিশ্বকাপ থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়েছিলেন রাহিম স্টার্লিং। পিএসজি গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা গত জুলাইয়ে ডাকাতির শিকার হয়েছিলেন। এর আগে পিএসজির আরও কয়েক খেলোয়াড় চুরি-ডাকাতির শিকার হয়েছেন। থিয়াগো সিলভা, আঞ্জেল দি মারিয়া, মাউরো ইকার্দি, দানি আলভেস, প্রেসনেল কিম্পেম্বে, এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং, মারকিনিওসদের বাসায় চুরি হয়েছে।
মন্তব্য করুন