দীর্ঘ ১৪ বছরের আক্ষেপ মিটিয়ে দক্ষিণ এশিয়া ফুটবলের শ্রেষ্ঠের আসর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে সেমিফাইনাল—লড়াকু ফুটবল উপহার দেন জামাল-তপুরা।
শেষ চারের লড়াইয়ে দুর্দান্ত লড়াইয়ের পর অতিরিক্ত সময়ের গোলে কুয়েতের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে মোরসালিন-রাকিবদের লড়াকু পারফরম্যান্স নজর কাড়ে সবার। আর এমন পারফরম্যান্সে সেমিফাইনালে ওঠায় বাংলাদেশ দলের জন্য অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
ঘোষণা অনুযায়ী, আজ রোববার (৯ জুলাই) বাফুফে ভবনে দলের সব সদস্যকে প্রতিশ্রুতির অর্থ তুলে তেন তিনি। দলের ৩৪ সদস্য প্রত্যেকে পেয়েছেন দেড় লাখ টাকার চেক। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে সাফের সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হওয়ায় আনিসুর রহমান জিকো এবং তরুণ শেখ মোরসালিনকে ১ লাখ টাকা করে দেন বাফুফে সভাপতি।
সালাউদ্দিন দলের তিনজন খেলোয়াড়কে আলাদা করে নিজের ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন। এ ছাড়া সেমিফাইনাল খেলতে নামার আগমুহূর্তে সতীর্থদের জন্য অর্থ পুরস্কার (৫ লাখ টাকা) ঘোষণা করেছিলেন দলের রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষ। দলের প্রতি এই নিবেদনের জন্য বিশ্বনাথকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেন কাজী সালাউদ্দিন।
আগামী অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রথম রাউন্ডে গুরুত্বটা বুঝিয়ে সব খেলোয়াড়কে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান বাফুফে সভাপতি, ‘একজন ফুটবলারের ক্যারিয়ার বড় জোড় ৩২ কি ৩৩ বছর। তাই এখন তোমাদের খেলায় মনোযোগী হতে হবে। তোমরা আমোদ করার অনেক সময় পাবে, এখন নিজেকে প্রস্তুত রাখো। তোমাদের সামনে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব আছে, সেখানে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে খেলা আছে। সেটা জিততে না পারলে ৩ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ছিটকে যেতে হবে। সুতরাং তোমরা প্রস্তুত থাকো।'
অর্থ পুরস্কার ও বাফুফে সভাপতির অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তব্য শুনে দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা এখনো সেমিফাইনালের হারটা ভুলতে পারিনি। সেই কষ্ট এখনো আছে। তারপরও প্রেসিডেন্ট (কাজী সালাউদ্দিন) আজকে (রোববার) আমাদের যেভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।’
মন্তব্য করুন