ইউরোপিয়ান ক্লাসিকো শিরোনাম পাওয়া বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের লড়াই হতাশ করেনি ফুটবল অনুরাগীদের। বায়ার্নের ঘরের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় হওয়া এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ ২-২ গোলের সমতায় শেষ হলেও পুরো ম্যাচ ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। বায়ার্ন ও রিয়াল কাউকেই সুবিধা না দেওয়া এই লড়াইয়ের পর এখন সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ফিরতি লেগের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। পৃথিবীর অন্যতম বিখ্যাত সেই স্টেডিয়ামে হওয়া দ্বিতীয় লেগ জিততে তাই দুই দলের কোচই মরিয়া।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় হওয়া ধ্রুপদী লড়াই শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রিয়ালকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারানোর হুমকি দিয়ে রেখেছেন বায়ার্ন কোচ টমাস টুখেল। অন্যদিকে, বেলিংহ্যামের চোট এবং এই ম্যাচের ফর্ম নিয়ে হতাশা থাকলেও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের খেলোয়াড়দের ম্যাজিক দেখার অপেক্ষায় লস ব্লাঙ্কোসদের ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি।
বায়ার্নের মাঠ থেকে জিতে আসতে পারলে হয়ত খুশি হতেন তবে ড্রতেও অসুন্তষ্ঠ নন রিয়াল কোচ আনচেলত্তি। তবে ম্যাচ ছাপিয়ে তার সব মুগ্ধতা রিয়ালে জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসকে ঘিরে।
তবে, রিয়াল কোচকে চিন্তায় ফেলবে জুড বেলিংহ্যামের ক্লান্তি। বেলিংহ্যাম ও ক্রুসকে নিয়ে আনচেলত্তি বলেন, ‘বেলিংহ্যাম আসলে অনেক ক্লান্ত ছিল, সে কারণে সে আর সেরা খেলা উপহার দিতে পারে নি। আশা করি সে (বেলিংহ্যাম) শীঘ্রই তা কাটিয়ে নিজের সেরা ফর্মে ফিরবে। আমার মনে হয় তার ইনজুরির সমস্যা রয়েছে, যা তার খেলায়ও প্রভাব ফেলেছে। টনি ক্রুস…তার জন্য কোনো শব্দ যথেষ্ট নয়। সে আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, টাইমিং এবং পাস অসাধারণ। অবশ্য তার পাস সবার জন্য নয়, কিন্তু ভিনির মুভমেন্ট খুবই স্মার্ট–অসাধারণ।’
প্রথম লেগের ফল নিয়েও আক্ষেপ নেই এই ইতালিয়ান কোচের। তিনি বলেন ‘প্রথমার্ধে আমাদের রক্ষণশীল খেলতে হতো, তবে আমরা যেমনটা চাইনি তার বাইরের অনেক কিছু ঘটে গেছে। সেই কারণে এ ধরনের জায়গায় আপনাকে ভুগতেই হবে, যা বিশ্বের সবাই জানে। আমি মনে করি, এটা ভালো ফলাফল এবং সেকেন্ড লেগের জন্য আমাদের বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস জোগাবে। এটি এখনও সম্পূর্ণ খোলা (নিজেদের পক্ষে ফল নেওয়ার জন্য)।’
অন্যদিকে, এগিয়ে গিয়েও ড্র করায় বায়ার্ন কোচ টুখেলের মধ্যে হতাশা নেই। তিনি জানান, ‘ফলাফল ফলাফলই। রিয়াল মাদ্রিদ এমনটা আগেও করেছে, দুই অর্ধে তারা দুটি চান্স পেয়েছে এবং দুটিতেই গোল। আমরা প্রথম কোনো প্রতিপক্ষ নই যে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এটি এখন ফিফটি-ফিফটি লড়াই। জয়ের জন্য বার্নাব্যু কঠিন জায়গা, তবে হ্যাঁ আমি আশা করি আমরা সেখানে সুযোগ কাজে লাগাতে পারব।’
মিউনিখে সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ২-২ গোলে ড্র এর পর সামনের বুধবার (৮ মে) রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগের খেলায় মুখোমুখি হবে দুই দল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ইউরোপের দুই অভিজাত দল থেকে কে ওয়েম্বলির ফাইনালের টিকিট কাটবে তা রিয়ালের ঘরের মাঠেই নির্ধারিত হবে।
মন্তব্য করুন