উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য গত রাতে চীন গেছে বাংলাদেশের একটি টেবিল টেনিস দল। ১১ ছেলে ও ৯ নারী প্যাডলারের সঙ্গে আছেন কোচ ও সমন্বয়ক। চীন সরকারের অর্থায়নে এ কার্যক্রমে ৪২ দিন প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশটির হুনান প্রদেশে এ ট্রেনিং কার্যক্রম চলবে।
শ্রীলঙ্কায় দক্ষিণ এশিয়ান জুনিয়র টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১৪ জন খেলোয়াড় এ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। বাকি ছয়জন ১০ থেকে ১৩ বছর বয়সী; তাদের বাছাই করা হয়েছে মেধার ভিত্তিতে। দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
১০ থেকে ১৫ বছর এবং ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়স বিভাগে করে চলবে প্রশিক্ষণ। এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ দলের থাকা-খাওয়া, বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ বহন করবে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন এজেন্সি।
৩০ জুলাই থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পরিচালিত এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে। বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সমন্বয়ে এ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় এক বছরের প্রচেষ্টায় এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পেরেছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রেনিং কোর্সে অংশ নিতে যাওয়া খেলোয়াড়দের শুভ কামনা জানানো হয়। টেবিল টেনিস ফেডারশনের সহসভাপতি খোন্দকার হাসান মুনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন।