২০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জয়ের পর সাবলীল ভঙ্গীতে হাঁটছিলেন বতসোয়ানার লেতসিলে তেবেগো, অভিনন্দন জানাতে ছুটে আসেন রুপা জয়ী যুক্তরাষ্ট্রের কেনেথ বেনডারেক। স্বদেশী নোয়াহ লাইলস তখন ট্র্যাকের ওপর হাঁটু গেড়ে বসে বড় বড় করে শ্বাস নিচ্ছেন। কোভিড নিয়ে খেলেই ব্রোঞ্জ জিতেছেন মার্কিন স্প্রিন্টার।
মাইক্রো সেকেন্ডে ১০০ মিটার রেস জয়ের পর ২০০ মিটারেও নোয়াহ লাইলসকে ফেভারিট ভাবা হচ্ছিল। দুদিন আগে করা পরীক্ষায় কোভিড পজিটিভ হন। সে অবস্থায়ই ট্র্যাকে নেমেছিলেন। ১৯.৭০ সেকেন্ড সময় নিয়ে নোয়াহ লাইলস ফিনিশিং লাইনে পৌছার আগেই তা অতিক্রম করেছেন লেতসিলে তেবেগো (১৯.৪৬ সেকেন্ড) এবং কেনেথ বেনডারেক (১৯.৬২ সেকেন্ড)।
যা নোয়াহ লাইলসের ‘স্প্রিন্ট ডাবল’ জয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে, জল ঢেলেছে ট্রেবল কীর্তির স্বপ্নেও। হাঁপাতে হাঁপাতে হুইল চেয়ারে করে ট্র্যাক ছাড়া মার্কিন তারকার প্যারিস অলিম্পিক শেষ হয়ে গেছে। যাওয়ার আগে হলুদকার্ড দেখেছেন প্যারিস গেমসের দ্রুততম মানব।
ইভেন্টে শুরুর আগে দর্শকদের অভিভাদনের জবাব দেওয়ার সময় লেনে থাকা বক্সে লাথি মারেন নোয়াহ লাইলস, যে কারণে বক্সে থাকা স্পিকার বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে তাকে হলুদকার্ড দেখানো হয়। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস সংস্থার অ্যাথলেট ও রিলে দলের জন্য প্রযোজ্য আইনের ৭.১ ধারা ভঙ্গের কারণে তাকে সতর্ক করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, অ্যাথলেট ও রিলে দলগুলো অগ্রহনযোগ্য আচরন করলে তাকে সতর্ক কিংবা অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
স্বর্ণজয়ের পথে আফ্রিকান রেকর্ড টাইমিং করলেন লেতসিলে তোবেগো। ১৯ বছর বয়াসি স্প্রিন্টার স্বর্ণপদক তার প্রয়াত মাকে উৎসর্গ করেছেন; যিনি মে মাসে মৃত্যুবরণ করেন। এসময় গলায় রানিং জুতো জোড়া ঝুলিয়ে উদযাপন করেন। জুতোর একটা জায়গায় লেখা ছিল তার মায়ের জন্ম তারিখ।
এ সম্পর্কে বতসোয়ানার এ স্প্রিন্টার বলেন, ‘মাঠের মধ্যে প্রতি পদক্ষেপে আমি তাকে বয়ে বেড়াই। তাকে সঙ্গে রাখাটা আমার জন্য বড় অনুপ্রেরণা। আমি নিশ্চিত, তিনি স্বর্গ থেকে আমাকে দেখছেন এবং দারুণ খুশিও হয়েছেন।’
কোভিড ২০০ মিটার রেসে প্রভাব ফেলেছে বলে জানালেন নোয়াহ লাইলস, ‘অবশ্যই এটা আমার ইভেন্টে প্রভাব ফেলেছে। ইভেন্টের আগের রাতে অনেক কাশি হচ্ছিল। আমি যা করেছি তাতে নিজেকে নিয়ে গর্বিত। কোভিড নিয়ে ব্রোঞ্জ জয় করাটা দারুণ বিষয়।’