দীর্ঘদিন জাতীয় পর্যায়ে সুইমিংপুলে ঝড় তুলেছেন মাহফিজুর রহমান সাগর, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বৈশ্বিক আসরে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক এ সাঁতারু আবারও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছেন এবার ভিন্নভাবে—ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার অভিযানে নামবেন পাবনা থেকে উঠে আসা এ সাঁতারু; সঙ্গী হিসেবে থাকবেন নাজমুল হক হিমেল।
৭ জুলাই ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে যুক্তরাজ্য যাবেন বাংলাদেশের দুই সাঁতারু। সেখানে গিয়ে অন্তত ১০ দিন অনুশীলন করবেন দুজন। তারপর নামবেন রোমাঞ্চকর অভিযানে। বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতার সংবাদ সম্মেলনে এসে খবরটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন।
অতীতে বাংলাদেশের তিন সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন। ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী প্রথম এশীয় ব্রজেন দাস। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে মোট ছয়বার চ্যানেলটি অতিক্রম করেন এ সাঁতার কিংবদন্তি। সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল পার হওয়ার রেকর্ডও গড়েছিলেন তখন। ১৯৬৫ সালে আবদুল মালেক ও ১৯৮৭ সালে মোশাররফ হোসেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি অলিম্পিক খেলা মাহফিজুর রহমান সাগর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন। সঙ্গী হিসেবে পেয়ে গেছেন হিমেলকে, যিনি বর্তমানে চীন প্রবাসী। এক সময়ের জাতীয় দলের সাঁতারু হিমেল এ সুযোগ পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত।
সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন হিমেল। ইংলিশ চ্যানেলের জন্য কতটা প্রস্তুতি নিতে হয়েছে—শোনালেন সে গল্পটাও। কিশোরগঞ্জ থেকে উঠে আসা এ সাঁতারু বলছিলেন, ‘প্রায় ৩৭ বছর পর ব্রজেন দাস স্যার এবং মোশাররফ হোসেন স্যারের পর আমরা দুজন বাংলাদেশি যাচ্ছি। নিঃসন্দেহে এটা একটা ব্রেকথ্রু। এটা গর্বের বিষয়। আমরা চাই বর্তমান প্রজন্ম আমাদের থেকে অনুপ্রেরণা পাক।’
অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে হবে। কিন্তু সে চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন এই সাঁতারু, ‘সেখানে জেলি ফিশ আছে। পানির তাপমাত্রা সেখানে ১৫ থেকে ১৯ ডিগ্রি। আমি চীনে ১৯ ডিগ্রিতে সাঁতার কেটেছি। খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তবে ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং হবে।’
মন্তব্য করুন