২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে আগের চেয়ে আরও কঠোর হয়েছে টিকটক। বাংলাদেশ থেকে এই সময়ে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি ভিডিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড হওয়া ভিডিওর বিশাল একটি অংশ।
২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ ৬ হাজার ৯৬০টি ভিডিও সরিয়েছে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক। টিকটকের মতে, এই ভিডিওগুলোর মধ্যে ৯৯.৬ শতাংশই সরানো হয়েছে সয়ংক্রিয়ভাবে, আর এর ৯৭.৭ শতাংশ ডিলিট করা হয়েছে ভিডিও প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই।
টিকটক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। প্ল্যাটফর্মটির নিয়মিত প্রকাশিত ‘কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট’-এ জানানো হয়, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ- এই সময়ের মধ্যেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বজুড়ে এই সময় টিকটক মোট ২১ কোটি ১০ লাখ ভিডিও সরিয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড হওয়া মোট কনটেন্টের প্রায় ০.৯ শতাংশ। এর মধ্যে ১৮ কোটি ৪৩ লাখের বেশি ভিডিও সরানো হয়েছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে। তবে যাচাই-বাছাইয়ের পর ৭৫ লাখের বেশি ভিডিও আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে টিকটকে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভিডিও সরানোর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে ছিল সংবেদনশীল বিষয়বস্তু (৩০.১%), নিরাপত্তা নীতিমালা লঙ্ঘন (১১.৫%), গোপনীয়তা ও সুরক্ষা লঙ্ঘন (১৫.৬%), ভুল তথ্য (৪৫.৫%) এবং এডিট করা বা এআই-জেনারেটেড কনটেন্ট (১৩.৮%)।
টিকটক জানায়, ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও দায়িত্বশীল অনলাইন পরিবেশ নিশ্চিত করতে তারা নিয়মিতভাবে কনটেন্ট পর্যবেক্ষণ ও অপসারণ করে থাকে। প্রতিবেদনটি সেই স্বচ্ছতা বজায় রাখারই অংশ।
মন্তব্য করুন