

গরমের তীব্র দিনে হোক বা শীতের হালকা ঠান্ডায়, ঘরের ভেতর বাতাস চলাচল ঠিক রাখতে ফ্যান এখন প্রায় সারা বছরের সঙ্গী। কখনো গরম কমাতে, আবার কখনো ঘরের ভাপসা ভাব দূর করতে আমরা অটোমেটিকভাবেই ফ্যানের সুইচটা অন করে দিই। তবে আরাম মিললেও মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান, ‘এত বিল কেন? ফ্যান কি সত্যিই এত বিদ্যুৎ খরচ করে?’
আসলে খুব সহজ এক হিসাব করলেই বোঝা যায় প্রতিদিন চালানো ফ্যানটি মাসে ঠিক কত ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে এবং তার বিপরীতে কত টাকা গুনতে হচ্ছে। আজকের লেখায় সেই সহজ হিসাবই ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো, যেন আপনি নিজেই সহজে ফ্যানের খরচ নির্ণয় করতে পারেন।
চলুন, দেখে নিই বিস্তারিত-
সাধারণত একটি সিলিং ফ্যান ৭০ ওয়াট থেকে ১০০ ওয়াটের হয়। তাহলে ধরুন যদি একটি সিলিং ফ্যান ৭০ ওয়াটের হয়, তবে এটি প্রতি ঘণ্টায় ৭০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করছে। এখন দিনে যদি ১০ ঘণ্টা একটি ফ্যান চলে, তাহলে খরচ হবে ১০×৭০ = ৭০০ ওয়াট শক্তি।
এবার বিদ্যুৎ বিল প্রতি ইউনিট যদি হয় ৭ টাকা ৫০ পয়সা, তাহলে ১০ ঘণ্টায় দিনে ০.৭ ওয়াট × ৭.৫০ = ৫.২৫ টাকা খরচ হবে। অর্থাৎ একদিনে একটি ফ্যানের জন্য খরচ হবে ৫.২৫ টাকা। এক মাসে খরচ হবে ৫.২৫×৩০= ১৫৭.৫ টাকা অর্থাৎ প্রায় ১৫৮ টাকা।
আরও অনেক পদ্ধতিতে এই হিসাব করতে পারবেন। যেমন ধরুন, আপনার ঘরের ফ্যানটি যদি ১০০ ওয়াটের হয়, তাহলে ১০ ঘণ্টা চললে মোট ১০×৩০ = ৩০০ ঘণ্টা চলবে মাসে। বিদ্যুৎ খরচ দাঁড়ায়, ১০০×৩০০ ওয়াট বা ঘণ্টা=৩০,০০০ ওয়াট আওয়ার্স। আবার, ওয়াট আওয়ার্স-কে ১০০০ দিয়ে ভাগ করলে পাওয়ার যায় বিদ্যুতের ইউনিট৷ এক্ষেত্রে, মাসে পাখার জন্য ইউনিট হবে, ৩০,০০০÷১০০০ ইউনিট=৩০ ইউনিট। এবার বিদ্যুৎ বিল প্রতি ইউনিট যদি হয় ৭ টাকা ৫০ পয়সা, তাহলে ফ্যানের এক মাসে খরচ হবে ৩০×৭.৫০ = ২২৫ টাকা।
তবে এটি সম্পূর্ণই নির্ভর করবে আপনার ফ্যানের পাওয়ার এবং বিদ্যুতের ইউনিটের উপর। বর্তমানে অনেক কম পাওয়ারের ফ্যান পাওয়া যায় বাজারে। সেগুলোতে মাস শেষে খরচ হবে আরও কম।
সূত্র : ক্যালকুলেটর ডট নেট, ইপিবি ও নিউজ১৮
মন্তব্য করুন