কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হঠাৎ শক্তি দেখাল আফ্রিকার সশস্ত্র গোষ্ঠী, নিহত দুই শতাধিক

বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি গোষ্ঠীর সশস্ত্র অবস্থান। পুরোনো ছবি
বুরকিনা ফাসোতে জঙ্গি গোষ্ঠীর সশস্ত্র অবস্থান। পুরোনো ছবি

আল কায়েদা ঘনিষ্ঠ সশস্ত্র গোষ্ঠী জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন (জেএনআইএম) হঠাৎ শক্তি দেখাল। গোষ্ঠীটি বুরকিনা ফাসোতে হামলা চালিয়ে ২০০ জনের বেশি মানুষ হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গোষ্ঠীটি হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা এটিকে নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করছে।

মধ্য আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো। এটি পূর্বে আপার ভোল্টা নামে পরিচিত ছিল। ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা অর্জনের আগ পর্যন্ত এটি একটি ফরাসি উপনিবেশ ছিল। ১৯৮৫ সালে দেশটির নাম বদলে রাখা হয় বুর্কিনা ফাসো, যার অর্থ- নৈতিক জাতির দেশ। এর উত্তরে ও পশ্চিমে মালি, পূর্বে নাইজার, এবং দক্ষিণে বেনিন, টোগো, ঘানা ও কোত দিভোয়ার।

বুর্কিনা ফাসো আফ্রিকার সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর একটি। দেশটির ভূখণ্ডের অর্ধেক আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর উত্থান দেশটিকে বিপর্যস্ত করে রেখেছে।দীর্ঘদিন ধরে সেনারা তাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত। গত শুক্রবারও আগাম হামলার খবর পায় কর্তৃপক্ষ। এরপর তা মোকাবিলায় প্রস্তুতির মধ্যেই হামলা হলো।

জানা গেছে, গত শনিবার এ হামলা হয়। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহর কায়া থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরের বারসালোঘো অঞ্চলে হামলা চালায় তারা।

সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য পরিখা খোঁড়ার কাজ চলছিল। একদল মানুষ এ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তাদের ওপর সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ সময় সেনারা প্রতিরোধের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। সেনাদের কয়েকজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

অস্ত্রধারীরা হামলার পর সেনাদের অস্ত্র লুট করে। তারা একটি সামরিক অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে জেএনআইএম। পরে তারা সেটি প্রকাশ করে আরও হামলার হুমকি দেয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধুঁকতে থাকা রিয়ালের জন্য নতুন দুঃশ্চিন্তা

ফের বিয়ের পিঁড়িতে কণ্ঠশিল্পী পূজা, পাত্র কে? 

হাদিসে যে ১০ বিষয়কে কেয়ামতের বড় আলামত বলা হয়েছে

জুলাই হত্যা মামলা থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীনকে অব্যাহতি

মাছ চাষে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগে অধ্যাপক মামুনের সাফল্য

টাকার সঙ্গে ঘুষ নিলেন হাঁস

ইসলামের লেবাস পরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে একটি দল : ড. কাইয়ুম

চসিক কার্যালয় পরিদর্শনে চীনের উহু সিটির মেয়র

রুপাজয়ী খই খইয়ের স্বপ্ন এখন অলিম্পিক

বিতর্কিত মন্তব্য, ভারতকে হুঁশিয়ারি সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রীর

১০

স্মৃতি মান্ধানার হবু বর পলাশ মুচ্ছালকে ঘিরে নতুন বিতর্ক

১১

২৯ নভেম্বর মক ভোট : ইসি সচিব

১২

মেট্রোরেলের ভাড়া কার্ডে প্রথম দিনই অনলাইন রিচার্জে বাধা 

১৩

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে রিটকারীর পেছনে ‘ভোমা বিড়াল’ : অ্যাটর্নি জেনারেল

১৪

ইএমই কোরের সদস্যদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

১৫

রাস্তার পাশে পড়ে ছিল ব্যবসায়ীর মরদেহ

১৬

টি-টোয়েন্টিতে মালয়েশিয়ার অলরাউন্ডারের বিরল কীর্তি

১৭

নামের জটিলতা কাটিয়ে শুরু হচ্ছে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ

১৮

একসঙ্গে জন্ম নেওয়া সেই পাঁচ শিশু হাসপাতালে ভর্তি

১৯

কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন

২০
X