নাইজারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপে গঠিত স্ট্যান্ডবাই ফোর্সে যোগ নিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ইকোওয়াস। দেশটিতে গত মাসের শেষদিকে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল। এরপর থেকে ইকোয়াওয়াস বিভিন্ন বার্তা দিয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ দেশ নিয়ে গঠিত জোট ইকোওয়াসের প্রতিরক্ষা প্রধান ঘানার রাজধানী আক্রায় এক বৈঠকে এ কথা জানান। নাইজারে গত ২৬ জুলাই প্রেসিডেন্ট বাজোমকে ক্ষতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী।
ইকোওয়াসের কমিশনার আবদেল-ফাতাও মুসাহ বলেন, ইকোওয়াসের সদস্য ১৫ দেশের মধ্যে সামরিক শাসিত দেশগুলো ও কেপভার্দে ছাড়া বাকিরা স্ট্যান্ডবাই ফোর্সে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান জেনারেল ক্রিস্টোফার গোবিন মুসা বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য দাঁড়িয়েছি এবং আমরা এটাকেই পৃষ্ঠপোষকতা করি। আমদের এ ফোর্স গঠন শুধু কেবল প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
এর আগে ইকোওয়াস গত ৬ আগস্টের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে পুনর্বহালের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। এটি না মানলে নাইজারের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর কড়া বার্তাও দেওয়া এ জোট। এরপর গত ১০ আগস্ট নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকার পুনর্বহালে সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য স্ট্যান্ডবাই সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয় ইকোওয়াস। এ নিয়ে সবশেষ ঘানার রাজধানী আক্রায় দুদিনের বৈঠক শেষে এমন তথ্য জানিয়েছে জোটটি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার বাসভবনে অবরোধ করে রাখেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের বিদ্রোহী সদস্যরা। আটকের পরের দিন বৃহস্পতিবার সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন তারা। এরপরই দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ করতে থাকেন সাধারণ মানুষ। এমনকি সমাবেশ থেকে প্রেসিডেন্টের দলের প্রধান কার্যালয়ে আগুন দেন অভ্যুত্থানের সমর্থকরা। ফলে প্রেসিডেন্ট সমর্থক ও অভ্যুত্থানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত থেকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়।
মন্তব্য করুন