পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির একটি সেনাঘাঁটি এলাকায় ও যাত্রীবাহী নৌকায় সশস্ত্র গ্রুপ হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১১৪ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন সেনা ও ৪৯ জন বেসামরিক লোক রয়েছেন। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলায় নিহতের মধ্যে ৬৪ জন সামরিক-বেসামরিক লোক রয়েছেন। এ ছাড়াও নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন হামলাকারীও রয়েছেন।
মালি সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিশাল বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে একটি নৌকায় হামলা চালায়। আবাকোইরা ও জরঘই শহরের মধ্যবর্তী রারহোস অঞ্চলের একটি নৌকায় এ হামলা হয়।
নৌকার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কমোনাভ জানিয়েছে, নাইজার নদীতে নৌকাটি ভাসছিল। এ সময়ে অন্তত তিনটি রকেট হামলা চালিয়ে নৌকার ইঞ্জিন বিকল করার চেষ্টা চালানো হয়।
কমোনাভ কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, হামলায় নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে তারা নদীতে আটকে যান। এ সময়ে তারা যাত্রীদের উপকূলে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ অঞ্চলে চলাচলেও জন্য নৌকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাহন। কেননা এখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ নোকায় হামলা ছাড়াও গাও অঞ্চলে বার্ম সার্কেলের একটি সেনাঘাঁটিতে আলাদা হামলা চালানো হয়েছে।
মালির অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হতাহতের এ সংখ্য নিশ্চিত করেছে। তবে নিহতের সংখ্য আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটিতে ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর থেকে কর্নেল আসিমি গইতা নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
এএফপি জানিয়েছে, আলকায়েদার এক সহযোগী সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। দেশটির সাহেল অঞ্চলে গত এক দশক ধরে আলকায়েদার সহযোগী সংগঠন আইএসআইএসের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে সহিংসতা চলে আসছে।
মন্তব্য করুন