চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সাপে নেউলে। সেটা আরও অবনতি হয় দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন চীনা পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্কের ঘোষণা দেন। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এই খারাপ, এই ভালো যাচ্ছিল। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিলেন, চীনের সঙ্গে বিরল এক ‘চুক্তি সম্পন্ন’ হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, চুক্তির আওতায় চীন বিরল খনিজ সরবরাহ করবে। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে ম্যাগনেট ও বিরল খনিজ সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে চীন। বিপরীতে চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের হুমকি থেকে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, আমাদের চুক্তি চূড়ান্ত, এখন শুধু আমার ও প্রেসিডেন্ট শির অনুমোদনের অপেক্ষা।
লন্ডনে দুই দিনব্যাপী আলোচনার পর এই ঘোষণা আসে। এর আগে মে মাসে সাময়িক শুল্ক যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ফের উত্তেজনা বাড়ছিল। যদিও এ চুক্তির বিস্তারিত এখনও প্রকাশ হয়নি। মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী ও চীনের উপবাণিজ্যমন্ত্রী জানান, দুই দেশের প্রেসিডেন্টরা ফোনে কথা বলার পর আলোচনার ভিত্তি তৈরি হয়।
চুক্তিতে আগে ঘোষিত কিছু শুল্ক কমানো হলেও, তা পুরোপুরি প্রত্যাহার হয়নি। নতুন এই চুক্তিতে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ ছিল, চীন তাদের বিরল খনিজ রপ্তানিতে বিলম্ব করছে।
অন্যদিকে, চীন অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রযুক্তিগত প্রবেশাধিকার ও শিক্ষার্থীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে। তবে নতুন সম্ভাব্য এই চুক্তি পূর্ণাঙ্গ কোনো বাণিজ্য চুক্তি নয়, বরং সীমিত পরিসরে অগ্রগতি বলা যায়। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ চুক্তি হতে আরও সময় লাগবে।
এই ঘোষণার প্রভাব বিশ্ববাজারে খুব বেশি পড়ছে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি এখনো অসম্পূর্ণ এবং এর পূর্ণতা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
মন্তব্য করুন