যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে চীন। শুক্রবার (২৭ জুন) চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দেয়। খবর সিএনএনের।
চীনের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই হোয়াইট হাউস জানায়, দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তি সাম্প্রতিক সময়ের উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনার পরে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিরল খনিজ পদার্থগুলো মোবাইল ফোন, কম্পিউটার থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান পর্যন্ত নানা প্রযুক্তিতে ব্যবহার হয়। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এ খনিজ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। পাল্টা শুল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে সম্পর্ক বাজে রূপ নেয়।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘যেসব রপ্তানি আবেদন আইন অনুযায়ী শর্ত পূরণ করবে, সেগুলোর অনুমোদন দেওয়া হবে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও চীনের ওপর আরোপ করা কিছু সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার করবে।’
এই ঘোষণার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিকও নিশ্চিত করেন, দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। বলা হচ্ছে, এ সমঝোতা চলতি মাসের শুরুতে লন্ডনে হয়েছিল, যার বাস্তবায়নের জন্য তখন ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শুক্রবার জানায়, তারা আশা করছে, দুই দেশ আরও বোঝাপড়া বাড়াবে, ভুল বোঝাবুঝি কমাবে, সহযোগিতা জোরদার করবে এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুস্থ, স্থিতিশীল ও টেকসই করবে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চীন বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ শতাংশ বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
গত মাসে জেনেভায় দুদেশ একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। এতে উচ্চ শুল্ক কমানোর কথা ছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ তোলে যে চীন বিরল খনিজের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে না, যা তারা ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক-এর জবাবে দিয়েছিল।
জবাবে যুক্তরাষ্ট্র চিপ, সফটওয়্যার, ইথেন এবং জেট ইঞ্জিনের ওপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের হুমকি দেয়। তবে চীন দাবি করে, তারা চুক্তি মানছে।
এরপর দুই দেশের কর্মকর্তারা জুন মাসে আবার আলোচনায় বসেন লন্ডনে। সেই আলোচনার পর ট্রাম্প জানান, একটি চুক্তি হয়েছে এবং এখন তা দুই দেশের নেতার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তিনি বলেন, উভয়পক্ষই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক কমাতে রাজি হয়েছে এবং চীনা শিক্ষার্থীদের মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন