জাপানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ২৫০ জন মানুষ। সময় যত গড়াচ্ছে তাদের জীবিত উদ্ধারের আশা ততই ক্ষীণ হয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জীবিতদের সন্ধানের জরুরি ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা পার হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
জীবিতদের উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসলেও জাপানে উদ্ধারকাজ থেমে নেই। দিন-রাত এক করে চেষ্টা করে চলেছেন উদ্ধারকর্মীরা। বার্তা সংস্থা কিয়োডো জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে জাপানি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সাড়ে চার হাজারের বেশি সদস্য উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহের কাজ করছেন।
গত সোমবার নববর্ষের দিন জাপানের উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের পর পর উপকূলীয় অঞ্চল ইশিকাওয়া, নিগাতা ও তোয়ামায় সুনামি সতর্কতা জারি করে জাপানের আবহাওয়া বিভাগ। এমন সতর্কবার্তার ঘণ্টাখানেক পরই স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ২১ মিনিটে ইশিকাওয়া অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরের উপকূলে ৩ দশমিক ৯ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ে। এ ছাড়া তোয়ামা শহর, কাশিওয়াজাকি, কানাজাওয়া বন্দর, টোবিশিমা দ্বীপ, সাদো দ্বীপসহ জাপানের পশ্চিম উপকূলীয় কয়েকটি এলাকায় এক মিটারের কম উচ্চতার সুনামির খবর পাওয়া গেছে। তবে বর্তমান জাপানের সব অঞ্চল থেকে সুনামি সতর্কবার্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া বাড়িঘরের নিচে অনেক মানুষ চাপা পড়ে আছেন। তাদের অধিকাংশ সুজু ও ওয়াজিমা শহরের বাসিন্দা। শহর দুটির কাঠের বাড়িঘরগুলো শক্তিশালী ভূমিকম্প সহনশীল করে নির্মিত নয়।
অন্যদিকে কয়েক হাজার মানুষ এখানো পানি ও বিদ্যুৎ ছাড়া। এ ছাড়া ভূমিধসের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকায় কয়েকশ মানুষের কাছে কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো যায়নি।
শুক্রবার দুর্যোগ সাড়াদান কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, আমরা হাল ছাড়ব না। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে যেতে সব ধরনের চেষ্টা করতে উদ্ধার ও ত্রাণকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য করুন