দাবানলে বিপর্যস্ত ভূমধ্যসাগরীয় দেশ গ্রিস। টানা সপ্তাহজুড়ে জ্বলছে দাবানল। আগুনের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন স্থানীয়রা। দাবানলে এখন পর্যন্ত বিমানের পাইলটসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) তাদের মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
বিমানবাহিনী জানিয়েয়েছে, এথেন্সের পূর্বে ইভিয়া দ্বীপে সিএল-২৫ মডেলের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুজন পাইলট নিহত হয়েছেন। নিহতদের দুজনের বয়স ৩৪ এবং ২৭ বছর। টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানটি দাবানলের উপরে পানি ছিটানোর একপর্যায়ে পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত হয় এবং সেটিতে আগুন ধরে যায়।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইআরটির অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইভিয়ার দুর্গম এলাকায় দাবানলে পুড়ে স্টক ব্রিডার নামে ৪১ বছর বয়সী অপর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি রোববার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
গত কয়েক দিন ধরে গ্রিসে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এ সময়ের মধ্যে দেশজুড়ে ৭৯টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। এসব দাবানলের ঘটনায় হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আগুন নেভাতে এখনো হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
মঙ্গলবার গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস বলেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহ আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। আমরা একটি যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আছি। আমরা যা হারিয়েছি তা আমরা আবার নির্মাণ করব। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাব। জলবায়ু সংকট এসে পড়েছে।’
এদিকে চিরশত্রু প্রতিবেশী দেশ গ্রিসের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। এ ছাড়া দানানল নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করছে স্লোভাকিয়াও। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়েপ এরদোয়ান আগুন নেভাতে দুটি অগ্নিনির্বাপক উভচর বিমান ও একটি হেলিকপ্টার পাঠিয়েছেন। এটি তাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ বলেও জানান তিনি। দাবানলে এখনো পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এরদোয়ান বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশ গ্রিসের বিশেষত তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। বিশ্বের উচিত এই কঠিন সময়ে গ্রিসের পাশে দাঁড়ানো।
মন্তব্য করুন