কৃষ্ণ সাগরে একটি পণ্যবাহী জাহাজে গুলি ছোড়ার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। গতকাল রোববার (১৩ আগস্ট) দক্ষিণ-পশ্চিম কৃষ্ণ সাগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
গত মাসে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যকার কৃষ্ণ সাগর শস্যচুক্তি থেকে সরে আসে মস্কো। শস্য চুক্তি থেকে রেরিয়ে যাওয়ার পর কৃষ্ণ সাগরে প্রথবারের মতো কোনো পণ্যবাহী জাহাজে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটল।
রোববার এক বিবৃতিতে রাশিয়া জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে তাদের টহল জাহাজ পালাউয়ের পতাকাবাহী সুকরু ওকান জাহাজকে থামার অনুরোধ করে। কিন্তু জাহাজের ক্যাপ্টেন সেই অনুরোধে সাড়া দিতে না পারায় রুশ টহল জাহাজ সেটিকে লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক গুলি ছুড়ে।
মস্কো বলছে, জাহাজটি ইউক্রেনের ইজমাইল বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। যদিও রিফিনিটিভ শিপিং ডেটা থেকে দেখা যায়, জাহাজটি রোমানিয়ার সুলিনা বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। বর্তমানে জাহাজটি বুলগেরিয়ার উপকূলের কাছে রয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, জোরপূর্বক জাহাজটিকে থামাতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবস্থা থেকে সতর্কীকরণ গুলি চালানো হয়েছিল। পর্যবেক্ষণ কাজ শেষ হওয়ার পর জাহাজটি ইজমাইল বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে।
গত মাসে কৃষ্ণ সাগর শস্যচুক্তি থেকে রাশিয়া সরে যাওয়ার পর কৃষ্ণ সাগর ও আশপাশের বন্দরে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের মাঝে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তি হয়। এ চুক্তির আওতায় কৃষ্ণ সাগর দিয়ে বিনা বাধায় শস্য রপ্তানি করে আসছির ইউক্রেন।
তবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ১৭ জুলাই এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় রাশিয়া। যদিও কৃষ্ণ সাগরে মানবিক করিডোর চালু করার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, রাশিয়ার এ কাজ সমুদ্র নিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ বিষয়ে ইউক্রেন সব ধরনের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে এবং সব চেয়ে ভালো জবাব দেবে।
মন্তব্য করুন