ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতির জোর প্রচেষ্টায় চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে এ প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছেন পশ্চিমা নেতারা। শান্তি চুক্তি নিয়ে গত সপ্তাহে আলোচনায় অনেকটা এগোলেও ইউক্রেনে হামলা থামেনি; বরং বেড়েছে। এতে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে ইউক্রেনীয় ফোর্স।
সামরিক বিশেষজ্ঞ আন্দ্রে মারোচকো রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসকে বলেন, গত সপ্তাহে লুগানস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের কাছে দুপক্ষের ভয়াবহ যুদ্ধ হয়। এতে ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা এবং বিদেশি ভাড়াটে সৈন্যকে হত্যা করেছে রাশিয়ান ফোর্স।
তিনি রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেন, গত সপ্তাহে এলপিআরের সীমান্তে বিশেষ সামরিক অভিযানের বিশ্লেষণ নতুন নতুন তথ্য সামনে আনছে। রাশিয়ার যুদ্ধদল উত্তর, দক্ষিণ এবং পশ্চিম প্রায় ৪ হাজার ৩৮০ ইউক্রেনীয় সেনা এবং ভাড়াটে সৈন্যকে হত্যা করেছে। যুদ্ধদল পশ্চিম এলপিআরের কুপিয়ানস্ক এবং স্বাতোভো-ক্রেমেন্নায়া এলাকায় অভিযান চালানোর সময় ইউক্রেনীয় জনবলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে।
সামরিক বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, রাশিয়ান সেনারা গত সপ্তাহে ছয়টি ট্যাঙ্ক (যার মধ্যে তিনটি ছিল লেপার্ড ট্যাঙ্ক), ৫৫টি ফিল্ড আর্টিলারি বন্দুক, একটি গ্র্যাড মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম, ৪৯টি রেডিও-ইলেকট্রনিক এবং কাউন্টার-ব্যাটারি যুদ্ধবিমান স্টেশন, ৯৩টি গোলাবারুদ, জ্বালানি এবং উপকরণ ডিপো এবং প্রায় ২৭০টি শত্রু যুদ্ধযান ধ্বংস করেছে।
মারোচকোর মতে, ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী গত সপ্তাহে রুশ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ এবং সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বাড়িয়েছে। এ ছাড়া কিয়েভ যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি ভুলভাবে উপস্থাপন করার জন্য ইউক্রেনীয় সেন্টার ফর ইনফরমেশনাল অ্যান্ড সাইকোলজিক্যাল অপারেশনসের তৎপরতা বাড়িয়েছে। তবে এসব রাশিয়ান ইউনিটগুলোকে দমাতে পারেনি। তারা সুকৌশলে বেশ কয়েকটি শত্রু প্রতিরক্ষার ঘাঁটিতে হামলা করে। যার ফলে রুশ সেনাদের কৌশলগত অবস্থান আরও উন্নত হয়।
মন্তব্য করুন