করোনা টিকা তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এবারের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। সোমবার (২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৩টার দিকে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
করোনোর এমআরএনএ টিকা তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কারে অবদান রাখায় তাদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। অবশ্য করোনা মহামারির আগেই এই প্রযুক্তিটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে ছিল। এরপর বিশ্বে করোনা মহামারি শুরু হলে কোটি কোটি মানুষকে এই টিকা দেওয়া হয়।
কোভিড মহামারির সময় মডার্না ও ফাইজার এই এমআরএনএ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করেই টিকা তৈরি করেছে। বর্তমানে এই একই এমআরএনএ প্রযুক্তি ক্যান্সারসহ অন্যান্য রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিনা, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
নোবেলজয়ী হিসেবে কাতালিন ও ওয়েইসম্যানের নাম ঘোষণার পাশাপাশি তাদের সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন জুরি বোর্ড সদস্যরা।
কাতালিন কারিকো
১৯৫৫ সালে ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরির সোলনক শহরে জন্মগ্রহণ করেন কাতালিন। দেশটির সেগেড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করে ১৯৮২ সালে জৈব রসায়ন শাস্ত্রে ডক্টরেট ডিগ্রি নেন তিনি। এরপর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টোরাল করেন। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই ছিলেন তিনি।
পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। সেখানে পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স, বেথসেডায় পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণা সম্পন্ন করার পর ১৯৮৯ নালে ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন।
২০১৩ সালে ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া থেকে অবসর নিয়ে বায়োএনটেক আরএনএ ফার্মাসিউটিক্যালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাতালিন। এরপর ২০২১ সালে আবারও সেগেড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান তিনি এবং পূর্ণাঙ্গ অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।
ড্রিউ ওয়েইসম্যান
কাতালিনের সঙ্গে এবার যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন ড্রিউ ওয়েইসম্যান। তিনি ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালে মার্কিন ব্র্যান্ডিস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এনজাইমোলজির ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮৭ সালে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুজীববিজ্ঞানে (মাইক্রোবায়োলজি) পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
এরপর হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধীনে বেথ ইসরায়েল ডিকোনেস মেডিকেল সেন্টার থেকে ক্লিনিক্যাল প্রশিক্ষণ ও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ থেকে পোস্ট ডক্টোরাল করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে পেরেলম্যান স্কুল অব মেডেসিনে গবেষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। বর্তমানে এই পদেই কর্মরত আছেন ওয়েইসম্যান।
মন্তব্য করুন