এশিয়া কাপ ২০২৫-এর দল ঘোষণা করতে এসে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়লেন ভারতের নির্বাচক প্রধান অজিত আগারকার ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সুর্যকুমার যাদব। এক সাংবাদিক ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন প্রসঙ্গে প্রশ্ন ছুড়ে দিতেই সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করল বিসিসিআই।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ১৫ সদস্যের ভারতীয় দল ঘোষণা করেন আগারকার ও সুর্যকুমার। দল নির্বাচনে কিছু চমক থাকলেও সংবাদ সম্মেলনের শেষদিকে মূল আলোচনায় চলে আসে ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইতে হতে যাওয়া ভারত-পাকিস্তান লড়াই।
প্রশ্নটি ছিল সরাসরি— ‘গত কয়েক মাসে দুই দেশের মধ্যে যা ঘটেছে, সেই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আপনারা কেমনভাবে নামবেন?’ সাংবাদিকের প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই বিসিসিআই মিডিয়া ম্যানেজার বাধা দেন এবং বলেন ‘একটু থামুন। যদি দলে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থাকে তবে করতে পারেন, অন্য প্রসঙ্গ নয়।’
এভাবে মিডিয়া ম্যানেজারের হস্তক্ষেপে রক্ষা পান আগারকার ও সুর্যকুমার।
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই ভারতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ না খেলার দাবিতে জোরালো আওয়াজ উঠছে। ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবুও এশিয়া কাপ সূচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচ থাকায় ভারতে তা বিস্ময় ছড়িয়েছে।
এমনকি পার্লামেন্টেও কয়েকজন এমপি প্রশ্ন তুলেছেন—এ অবস্থায় কেন পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত? তবে বিসিসিআই এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো অবস্থান নেয়নি।
এদিকে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান লড়াই হতে পারে তিনবার—গ্রুপ পর্বে ১৪ সেপ্টেম্বর, সুপার ফোরে ২১ সেপ্টেম্বর এবং সম্ভাব্য ফাইনালেও। অর্থাৎ দু’দেশের রাজনৈতিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও ক্রিকেট ভক্তরা পেতে পারেন টানটান উত্তেজনায় ভরা কয়েকটি ক্লাসিক দ্বৈরথ।
এর আগে জুলাইয়ে কিংবদন্তিদের টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস (WCL)-এ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিল করতে হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার তীব্র প্রতিবাদের কারণে। ভারতীয় সাবেক কয়েকজন ক্রিকেটার সরে দাঁড়ানোয় আয়োজকরা বাধ্য হয়ে ম্যাচটি বাতিল করেন। এমনকি সেমিফাইনালেও ভারত দল পাকিস্তানের মুখোমুখি না হয়ে ম্যাচ ছেড়ে দেয়।
সব মিলিয়ে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান লড়াই ঘিরে শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও তৈরি হচ্ছে প্রবল উত্তেজনা।
মন্তব্য করুন