রাশিয়ার চলমান সংকট নিয়ে ক্ষাণিকটা স্বস্তির হাসি হাসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই পুতিনের যাঁতাকলে পিষ্ঠ হয়ে আসছেন তিনি। আর সেই কল ঘুরাতে সাহায্য করেছে ওয়াগনার গ্রুপ। এবার দান উল্টে পুতিনের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন রুশ বাহিনীর অন্যতম সহযোগী ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
গতকাল শুক্রবার মস্কোর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে ওয়াগনার গ্রুপ। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ ধরনের পরিস্থিতি পিঠে ছুরি মারার মতো। তবে জেলেনস্কি বলছেন, রাশিয়ার এমন দুর্বলতা অনিবার্য ছিল। মস্কো যতদিন ইউক্রেনে সেনা ও ভাড়াটে যোদ্ধাদের মোতায়েন রাখবে তত বেশি বিশৃঙ্খলা সঙ্গে করে নিয়ে যাবে।
শনিবার এক টুইট বার্তায় জেলেনস্কি জানান, যারাই বিপথ অনুসরণ করে তারাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে। যারা অন্য দেশের জনগণকে হত্যা করতে সেনা পাঠায় তারা কখনো তাদের সেনাদের বিশ্বাসঘাতকতা ঠেকাতে পারবে না।
পুতিনের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, যিনি জনগণকে অবজ্ঞা করেন এবং কয়েক লাখ মানুষকে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দেন তিনি শেষ পর্যন্ত নিজেকে মস্কোতে অবরুদ্ধ করেছেন। নিজে যাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন তাদের কাছ থেকে বাঁচার জন্য এমনটা করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
টুইটবার্তায় ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, রাশিয়া দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের দুর্বলতা ও সরকারের বোকামি ঢাকতে প্রপাগান্ডার আশ্রয় নিয়ে আসছে। এখন সেখানে এতটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে যে তারা সেগুলো কোনো মিথ্যা দিয়েই ঢাকতে পারছে না। আর এগুলো শুধু একজন ব্যক্তির কারণেই ঘটছে।
গত মাসে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত দখলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ওয়াগনার গ্রুপ। সেই সময় থেকেই রুশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগ করে আসছিলেন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন। বিশেষ করে ওয়াগনারকে গোলাবারুদ সরবরাহ করতে বিলম্বের কারণে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিপর্যয়ের জন্যও তাদের দায়ী করেন ওয়াগনারপ্রধান।
মন্তব্য করুন