এক দিনের বিদ্রোহের পর লাপাত্তা ছিলেন রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। তবে নীরবতা ভেঙে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন তিনি।
বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে প্রকাশিত প্রিগোজিনের অডিও বার্তাটি ছিল ১১ মিনিটের। তিনি এ সময় বলেন, ‘মস্কো অভিমুখে আমরা প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলাম। মস্কোর সরকার উৎখাতের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না ওয়াগনারের।’
তিনি বলেন, ‘ওয়াগনারের ধ্বংস ঠেকানোই আমাদের লক্ষ্য ছিল। একই সঙ্গে রুশ বড় কর্মকর্তাদের অপেশাদার পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে চেয়েছিলাম আমরা।’
তিনি আরও বলেন, যদি রাশিয়ার বিশেষ অভিযানটি ওয়াগনার বাহিনীর দ্বারা সম্পাদনা করা হতো তাহলে এক দিনেই তা শেষ হয়ে যেত।
এ সময় প্রিগোজিন আরও বলেন, মস্কোর ২০০ কিলোমিটারের ভেতর ওয়াগনার যোদ্ধারা ঢুকে পড়েছিল। এতে মস্কোর নিরাপত্তা যে কতটা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
এর আগে শনিবার রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রোস্তভ-অন-দন দখলের পর রাজধানী মস্কোর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল ওয়াগনার বাহিনী। তারা যখন মস্কো থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে, এমন মুহূর্তে তাদের পদযাত্রা স্থগিতের নির্দেশ দেন প্রিগোজিন।
এর কিছু আগে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানিয়েছিলেন, ওয়াগনার বাহিনীর মস্কো অভিমুখী পদযাত্রা স্থগিত করতে তিনি প্রিগোজিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় প্রিগোজিন তার প্রস্তাব গ্রহণে সম্মত হন বলেও জানায় লুকাশেঙ্কোর কার্যালয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে ওয়াগনার যোদ্ধারা। বিদ্রোহের শুরুতে তারা শহরটির সামরিক ঘাঁটিগুলো দখল করে নিয়েছিল। পরে রোস্তভ ও মস্কোর মধ্যবর্তী একটি শহর ভরোনেঝও দখল করে তারা।
ওয়াগনার যোদ্ধারা ফিরে যাওয়ার পর এখন তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না। তারা কী ইউক্রেনে ফিরে যাচ্ছে, নাকি অন্য কোথাও যাচ্ছে—তাও পরিষ্কার নয়।
মন্তব্য করুন