ইউক্রেনের পাল্টা হামলা ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। তারা বলছে, যুদ্ধে ব্যাপকসংখ্যক সেনা হারাচ্ছে ইউক্রেন। এসব বিতর্কের পর এবার বিদেশি সৈন্যদের মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেছেন, জুনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেন ২৬ হাজার সেনা হারিয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধে বিপুলসংখ্যক সেনা আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভাড়াটিয়া সেনা রয়েছে। এটি তাদের জন্য বড় পরাজয়।
রোববার (২৩ জুলাই) পিটার্সবার্গে আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে এক আলোচনায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসব কথা বলেন। আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আলোচনার একপর্যায়ে লুকাশেঙ্কো বলেন, ইউক্রেনের এমন পরিস্থিতির পিছনে তাদের ত্রুটিপূর্ণ রণকৌশল দায়ী। যার কারণে তারা দলে দলে সৈন্য হারাচ্ছে। এ সময় পুতিন বলেন, ‘এটা তাদের বোকামির ফল’।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, যেসব দেশ থেকে সৈন্য পাঠানো হয়েছে তারা যুদ্ধের বাস্তব পরিস্থিতি জানেন। মস্কো এটি তাদের নিশ্চিত করছে যাতে তারা তাদের সরকারের পদক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
এর আগে শনিবার (২২ জুলাই) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকে এখনো পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার ৯৯০ জন বিদেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ সময়ে প্রায় একইসংখ্যক সেনারা পালিয়ে গেছেন।
মন্ত্রণালয় এক সতর্কবার্তায় জানায়, ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাড়াটে সেনাদের নিশ্চিহ্ন করতে রাশিয়ার সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে যাবে।
এর আগে শুক্রবার (২১ জুলাই) হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, যুদ্ধে ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সংখ্যক সেনা হতাহত হয়েছে। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি সামনে আরও জটিল হতে পারে।
রাশিয়ার বক্তব্যের সঙ্গে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের মিল রয়েছে। গত সপ্তাহে তাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহে রুশ হামলার পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ২০ শতাংশ অস্ত্রশস্ত্র হারিয়েছে ইউক্রেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যুদ্ধ নিয়ে এখনো বিচার করার মতো সময় আসেনি। ইউক্রেনের ব্যাপক সেনা মজুদ রয়েছে। ফলে যুদ্ধ নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বাস্তবে তার প্রতিফলন হবে।
মন্তব্য করুন