কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ পিএম
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভারতীয় রুপির দরপতন চলছেই, দাম এখন ইতিহাসের সর্বনিম্নে

মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়া, তেলের দাম বৃদ্ধি ও ভারতের শেয়ারবাজারের নেতিবাচক প্রভাবে রুপির দাম কমে যায়। ছবি : সংগৃহীত
মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়া, তেলের দাম বৃদ্ধি ও ভারতের শেয়ারবাজারের নেতিবাচক প্রভাবে রুপির দাম কমে যায়। ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় রুপির মূল্য আরও কমে গেছে এবং এখন এটি ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। বর্তমানে, প্রতি ডলারের বিপরীতে রুপির দাম ৮৫ দশমিক ৯৭।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়া, অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ভারতের শেয়ারবাজারে নেতিবাচক মনোভাবের কারণে রুপির দাম কমে যায়। খবর দ্য ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের।

প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিকে রুপির দরপতন শুরু হয় এবং একাধিক দফায় তা আরও কমে যায়। কয়েকদিন আগে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা জানিয়েছিল যে রুপি ৮৬ পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা সত্যি হয়ে ৮৬ রুপি কাছাকাছি চলে আসে।

মুদ্রার এই পরিস্থিতি দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। শেয়ারবাজারে রুপির কমতির কারণে পতন অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

রুপির এই দরপতনের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচও বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত, যারা বিদেশে পড়াশোনা করছেন বা আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা করছেন, তাদের জন্য এটি আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। রুপির মূল্য কমার ফলে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং বিদেশে পড়াশোনা করা আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে, যা সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে বাধ্য করছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রুপি এবং শেয়ারবাজার উভয়ই অস্থির থাকবে এবং আগামীতে আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।

এ ছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে, রুপি কমার অন্যতম কারণ হলো আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের শক্তিশালী হওয়া। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বন্ডের বিপরীতে অতিরিক্ত মুনাফা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যার ফলে রুপির মূল্য কমে যাচ্ছে।

আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংকের উপাত্ত অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের বাণিজ্যঘাটতি গত বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি, ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে। শেষ প্রান্তিকে প্রায় ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন (১ হাজার ৩০ কোটি) ডলার বিনিয়োগ প্রত্যাহার হয়েছে, যা রুপির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।

এইসব কারণে রুপি আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং এর মূল্য আরও কমতে পারে, যা ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাব্বিরকে পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ বিসিবির আকুর

জিয়ার সমাধিতে ডা. সাবরিনার শ্রদ্ধা, যুবদল সভাপতির ক্ষোভ

শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিতর্ক, অর্থপাচার বিরোধী অভিযানে চাপ

অভিনেত্রী জাহানারা ভূঁইয়া মারা গেছেন

ঢাকা শিশু হাসপাতাল শাখা ড্যাবের নতুন দায়িত্বে ডা. ফারুক

এনসিপির আরও চার নেতার পদত্যাগ 

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিসের শ্বশুর লুৎফর রহমান

ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণার বিধিমালা প্রকাশ

হাসনাতকে ‌‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা

বিজিবির কাছে ৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ

১০

চুরির অভিযোগ, গণপিটুনিতে যুবক নিহত

১১

সংবিধানের মূলনীতি থেকে আমরা সরে যাচ্ছি : ড. কামাল হোসেন

১২

রাকসু নির্বাচনে ভোটাধিকারের দাবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৩

চট্টগ্রামের মিষ্টি কারখানায় স্বাস্থ্যঝুঁকি, মধুবন ফুডকে জরিমানা

১৪

আশুলিয়ায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

১৫

জাবির সাবেক সহকারী প্রক্টর জনি রিমান্ডে

১৬

প্রাণনাশের শঙ্কায় ভুগছেন ফজলুর রহমান, চাইলেন নিরাপত্তা

১৭

বাংলাদেশ সফর নিয়ে ইসহাক দারের প্রতিক্রিয়া

১৮

অপ্রতুল বিনিয়োগের কারণে চিকিৎসার মান কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছায়নি : ডা. রফিক 

১৯

মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানানো থালাপতির উত্থানের গল্প

২০
X