কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:২৯ এএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৩০০ দিন মহাকাশে আটকা, পৃথিবীতে ফিরলেন দুই নভোচারী

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন
পৃথিবীতে অবতরণের পর হাসিমুখে নভোচারীরা। ছবি : সংগৃহীত

গিয়েছিলেন মাত্র আট দিনের জন্য। কিন্তু কাটাতে হলো দীর্ঘ নয় মাস। অবশেষে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে পৃথিবীতে ফিরেছেন দুই নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। তাদের বহনকারী পরীক্ষামূলক ওই মহাকাশযানে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়েন তারা। বুধবার (১৯ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ভারতীয় সময় ভোর ৩টা ২৭ মিনিটে তাদের বহনকারী স্পেসএক্সের মহাকাশযান ফ্লোরিডার সমুদ্রে অবতরণ করেছে। মহাকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সুনীতাদের এই প্রত্যাবর্তন নিরাপদে হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসা। তাদের সঙ্গে একই মহাকাশযানে ফিরেছেন নাসার নিক হগ এবং রুশ নভোচরী আলেকজ়ান্ডার গর্বুনভ। গত বছরের জুন মাসে সুনীতারা মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ছাড়ে স্পেসএক্সের ড্রাগন যান।

বুধবার আটলান্টিক মহাসাগরের ফ্লোরিডা উপকূলে মহাকাশচারীরা নিরাপদে অবতরণ করেন। তাদের উদ্ধারে এগিয়ে যায় মার্কিন নৌবাহিনীর বোট। এর পরে মডিউলসহ নভোচারীদের জাহাজের কাছে নিয়ে আসে নৌবাহিনী। হাইড্রোলিক পদ্ধতিতে তাদের জাহাজে তোলা হয়। সেখানে ড্রাগন ক্যাপসুলের দরজা খোলার পরে প্রথমে বেরিয়ে আসেন নিক হগ। তার প্রায় ৫ মিনিট পরে ভারতীয় সময় ভোর ৪টা ২২ মিনিটে হাসিমুখে বেরিয়ে আসেন সুনীতা উইলিয়ামস।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, পৃথিবীতে ফিরে এলেও এখনই নিজেদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না মহাকাশচারীরা। তাদের এখন ক্রু-কোয়ার্টারে রাখা হবে। সেখানেই বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। পরে তাদের সঙ্গে দেখা করার সম্মতি মিলবে।

ভারতীয় সংবাদ ওয়েবসাইট নিউজ উইক জানিয়েছে, মহাকাশে থাকলেও খাবার নিয়ে কষ্ট পেতে হয়নি সুনীতা উইলিয়ামস বা বুচ উইলমোরকে। ব্রেকফাস্টসহ প্রতিদিন তিন বেলাই খাবার খেয়েছেন তারা। মহাকাশে তাদের খাবারের তালিকায় ছিল গুঁড়া দুধ, পিৎজা, শ্রিম্প ককটেল, রোস্টেড চিকেন ও টুনা মাছের মতো আইটেম। যেহেতু মহাকাশে তাজা শাকসবজি বা ফল পাওয়া সম্ভব নয়, তাই তারা প্যাকেজিং করা শুকনা ফল ও সবজি খেয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রতি তিন মাসে একবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাদের কাছে তাজা শাকসবজি ও খাবার পাঠানো হয়। সেগুলিই প্যাকেজ-জাত করা থাকে এবং পরবর্তী ৩ মাস সুনিতারা সেই প্যাকেজ-জাত শাকসবজি খান।

এছাড়া মাছ-মাংসও খেতে পারেন মহাকাশচারীরা। যেহেতু পৃথিবী থেকেই এগুলো রান্না করে, প্যাকেট করে পাঠানো হয়, তাই মহাকাশে গিয়ে এই খাবারগুলি ফুড ওয়ার্মার দিয়ে গরম করে খান মহাকাশচারীরা। ডিহাইড্রেটেড স্যুপ, স্ট্যু ও ক্যাসেরোলও থাকে মহাকাশচারীদের মেনুতে। এর মধ্যে শুধু পানি ঢাললেই তা খাবার উপযোগী হয়ে যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মুক্তির দিনেই পাইরেসির কবলে ‘ওয়ার-২’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের চুক্তির মেয়াদ বাড়ল

আইনি ভিত্তি দিয়ে জুলাই সনদ প্রণয়ন করতে হবে : খেলাফত মজলিস

যাদের হজে নেওয়া যাবে না, জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা

সালাহউদ্দিন কাদেরের ফাঁসি, জুডিসিয়াল মার্ডার : হুম্মাম

পদ্মার পানি বিপৎসীমায়, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

পাথর লুট : পরকালে দেওয়া হবে যে ভয়াবহ শাস্তি

দুই সন্তানের বাবাকে শিশু দেখিয়ে জামিনে মুক্তি

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

রাজধানীতে ফানুস ওড়ানোতে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

১০

বাইডেনের ছেলেকে মামলার হুমকি দিলেন ট্রাম্পের স্ত্রী

১১

দীর্ঘ বিরতির পর ফিরছেন রুবেল

১২

মেঘনায় ১৮ হাজার বস্তা সিমেন্টসহ ডুবল লাইটার জাহাজ

১৩

প্রতারণার অভিযোগে ফের বিপাকে রাজ-শিল্পা

১৪

ক্লাব বিশ্বকাপের বোনাসের অংশ জোতার পরিবারকে দেবে চেলসি

১৫

জবির নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে মেডিকেল কার্যক্রম চালুর আবেদন

১৬

যারা নির্বাচন করবেন, তারা কেন সরকারে : রাশেদ খান

১৭

বঙ্গতে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’

১৮

সরকারি চাকরিজীবীদের ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত

১৯

সুপার কাপ ফাইনালে ফিলিস্তিনি শিশুদের পক্ষে উয়েফার ব্যানার

২০
X