জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র ছাত্রী আবাসিক হল নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীতে মেডিকেল কার্যক্রম চালুর অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও ‘শহীদ সাজিদ মেডি এইড’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর খান।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রইছ উদদীনের মাধ্যমে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আনজুমান আরার কাছে এ আবেদন জমা দেয় সংগঠনটি।
আবেদনে বলা হয়, চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। জবি শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত ও সুসংগঠিত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় ‘শহীদ সাজিদ মেডি এইড, জবি’।
সংগঠনের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- হলে দ্রুত মেডিকেল সেন্টার চালু করে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মৌলিক ওষুধ সরবরাহ; হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ও বিভিন্ন রোগের টিকা প্রদান; শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন, যার প্রতিটি প্যাডের ২০ শতাংশ মূল্য সংগঠন বহন করবে; নারী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প; সুনামধন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিশেষ ছাড়ে চেকআপ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা; স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সভা ও সেমিনার আয়োজন।
এতে আরও বলা হয়, হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংগঠনকে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও সার্বজনীন চিকিৎসা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য আবু বকর খান বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলে কোনো জরুরি মেডিকেলসেবা নেই, এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে উদাসীন। জবি ছাত্রী হলে অবস্থানরত নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে কাজ করতে আগ্রহী আমরা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনুমতি দিলে আমরা কার্যক্রম শুরু করব।
এ বিষয়ে হল প্রভোষ্ট অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা বলেন, স্মারকলিপি সম্পর্কে আমি কিছু জানি না, তবে এটা আমার কার্যালয়ে পৌঁছেছে। মেডিকেল সেন্টার যদি প্রয়োজন হয় এবং প্রশাসন যদি মনে করে তবে অবশ্যই চালু করা হবে।
শহীদ সাজিদ মেডি এইড প্রসঙ্গে হল প্রভোষ্ট বলেন, তারা যদি যুক্ত হতে চায়, কাজ করতে আগ্রহী হয় তবে অবশ্যই অনুমতি দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে, পারমিশন প্রয়োজন হলে পারমিশন সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন